মুম্বই : লোকসভা নির্বাচনের ( Loksabha Elections ) আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার ( Maharashtra cabinet ) । এমন এক সিদ্ধান্ত, যা নিঃসন্দেহে মেয়েদের মন জয় করবেই। বিভিন্ন সময়ই মহিলাদের অভিযোগ থাকে, সন্তানধারণ, জন্ম দেওয়া থেকে তাকে বড় করার পিছনে মায়ের ভূমিকাই সবথেকে বেশি, অথচ যে কোনও সরকারি নথিতে আগে জানতে চাওয়া হয় বাচ্চার বাবার নাম। সরকারি যে কোনও নথিতে মায়ের নাম বাধ্যতামূলক ভাবে লিখতে হবে। আবেদনকারীকে প্রথমে নিজের নামের পরই লিখতে হবে মায়ের নাম। তারপর আসছে বাবার নাম লেখার জায়গা।
২০১৪ সালের ১ মে বা তার পরে যাদের জন্ম, তাদের স্কুলে ভর্তি হোক বা কোনও সরকারি সার্টিফিকেট তাতে মায়ের নাম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। শুধু স্কুল কলেজ নয়, রাজস্ব নথি, স্যালারি স্লিপ, জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র, সবেতেই মায়ের নাম নিজের নামের পরেই লেখা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে সরকার।
এই নিয়ম সম্পর্কে কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য
- নতুন নিয়মটি ২০২৪ সালের ১ মে-র পর যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে ৷
- আবেদনকারীদের সব সরকারি নথি যেমন জন্ম শংসাপত্র, স্কুল নথি, সম্পত্তি নথি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদির জন্য নতুন ফর্ম্যাট অনুসারে তাদের নাম নিবন্ধন করতে হবে৷
- অনাথ শিশুদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।
- বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে এখনই নিয়ম বদল হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে মহিলার নাম, তারপর তার স্বামীর নাম এবং তারপর পদবী রাখতে হবে।
- নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ এর আগে জানায়, এই সিদ্ধান্তকে মায়েদের সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
- রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগকে কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে। মায়ের নাম জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিনা এ বিষয়ে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, লোকসভা নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগে মহিলা ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রয়াসেই এই সিদ্ধান্তগ্রহণ রাজ্যের। এদিন মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্য মন্ত্রিসভা ট্রান্সজেন্ডার নীতি ২০২৪ (Transgender Policy, 2024) অনুমোদন করেছে। তাদেরও যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : - হঠাৎ করে ছাদে ওঠা যায় না, স্টেপ বাই স্টেপ যেতে হয়, সায়ন্তিকাকে তৃণমূল প্রার্থীর খোঁচা