নয়াদিল্লি: করোনা আবহে নতুন আতঙ্ক মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে এবার মহামারী হিসেবে ঘোষণা করল তেলঙ্গানা সরকার। আজ, এই ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।


এদিন রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১৮৯৭ সালের মহামারী আইন অনুযায়ী, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হল। রাজ্য সরকার সাফ জানিয়েছে, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইসিএমআর-এর  গাইডলাইন মেনে চিকিৎসা করতে হবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত হয়ে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৮০ জন চিকিৎসাধীন। রাজ্যে গাঁধী হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।


গতকাল, বুধবারই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করেছে রাজস্থান সরকার। করোনা আবহের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। গত সোমবার রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘুনাথ শর্মা নির্দেশিকা জারি করে অবিলম্বে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ব্যবহৃত ওষুধটি ২,৫০০ শিশি কেনার কথা জানায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, জানানো হয়েছে জয়পুরের এই বিখ্যাত হাসপাতালে চলছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই সাওয়াই ম্যান সিং হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমিত রোগী ভর্তি হয়েছেন। ওয়ার্ডে ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যসচিব অখিল আরোরা একটি নোটিশ জারি করে রাজ্যস্থান মহামারি আইন ২০২০-র অধীনে একে মহামারী বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এবং করোনভাইরাসের সমস্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সমস্ত পদক্ষেপ করেছে রাজস্থান সরকার।


মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ছত্রাক-রোগ মিউকরমাইকোসিস। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে এখনও পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ পার। এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি মহারাষ্ট্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ওষুধের জোগান বাড়ানোর জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অনুরোধ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়িয়ে সম্প্রতি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইনডোরের এমওয়াইএইচ হাসপাতালে। সেখানে ১৩ জন রোগী কালো ফাঙ্গাস সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূ্ত্রের খবর, রাজধানী দিল্লিতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।