মুম্বই : দুই পাকিস্তানি (Pakistani Citizens) পৌঁছাচ্ছে মুম্বই শহরে (Mumbai Town) । উড়িয়ে দেবে তাজ হোটেল (Taj Hotel)। এমনই হুমকি ফোন পেল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। বেনামি এই ফোন কলটি আসে মুম্বই পুলিশের মেন কন্ট্রোল রুমে। ফোনে জানানো হয়, পাকিস্তান থেকে দুই জন সমুদ্রপথে ভারতে প্রবেশ করবে। মুম্বইয়ে নেমে শহরের ঐতিহ্যবাহী হোটেল উড়িয়ে দেবে। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে খবর মেলে, মুকেশ সিং নামে জনৈক ব্যক্তি ফোন কলটি করে।


যদিও পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ওই ব্যক্তির নাম জগদম্বা প্রসাদ সিং। ৩৫ বছর বয়স। সে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা। এই মুহূর্তে সান্তাক্রুজ এলাকায় বসবাস করছে। হুমকি ফোন পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে বাণিজ্য নগরের পুলিশ। অতীতে এই হোটেল একই রকম হুমকি ফোন পেয়েছে। মুম্বইয়ের কোলাবা এলাকায় থাকা এই তাজ হোটেল ২০০৮ সালে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে। এর পাশাপাশি জঙ্গিরা ওবেরয়-ট্রাইডেন্ট, সিএসটি, নরিমন হাউস, ক্যাফে লিওপোল্ড ও কামা হাসপাতালে নাশকতা চালায়। গোটা হামলায় অন্তত ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হন ৩০০ জনের বেশি।


এর আগে ২০২০ সালেও একই রকম হুমকি ফোন এসেছিল তাজ হোটেলে। করাচি থেকে সেই ফোন করা হয়েছিল বলে জানায় মুম্বই পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, যে ফোন করেছিল সে নিজেকে লস্কর ই তৈবার সদস্য বলে পরিচয় দেয়। তাজ হোটেল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফোনটি আসে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তাজ মহল প্যালেসের নিরাপত্তা বাড়ায়। এর পাশাপাশি ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, তাজ ল্যান্ড এন্ড ও বান্দ্রা এলাকাকে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়। 


২০২০ সালে এই ফোন কলটি এমন একটি দিনে এসেছিল যখন করাচিতে অবস্থিত পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় চার বন্দুকধারী। চার নিরাপত্তাকর্মী এবং এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যদিও পুরো বিল্ডিংয়ের দখল নেওয়ার আগেই আততায়ীদের গুলি করে নিকেশ করা হয়।   


প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালে অতিথিদের জন্য প্রথম দরজা খুলে দেয় তাজ। সেই সময় দৈনিক ভাড়া ছিল ছ’টাকা। একসঙ্গে প্রথম বার ১৭ জন অতিথি তাজ হোটেলে ওঠেন। আমেরিকা, জার্মানি, প্যারিস থেকে আনা সামগ্রীতে নিজেহাতে হোটেল সাজিয়েছিলেন টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা। সেই যুগে খরচ পড়েছিল ২৬ লক্ষ টাকা।