নয়াদিল্লি: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিখ্যাত উর্দু কবি (Urdu Poet) মুনাওয়ার রানা (Munawwar Rana Passes Away)। বয়স হয়েছিল ৭১। রবিবার লখনউয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। সেখানে 'সঞ্জয় গাঁধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস'-এ (Sanjay Gandhi Post Graduate Institute of Medical Sciences) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই গলার ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি, খবর পিটিআই সূত্রে। 


প্রয়াত উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা


রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন উর্দু কবি। এদিন তাঁর মেয়ে সুমাইয়া রানা, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করে জানান যে তাঁর বাবা হাসপাতালেই রবিবার বেশ রাতের দিকে মারা গিয়েছেন। সোমবার তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে। শিল্পীর ছেলে তাবরেজ রানা পিটিআইকে বলেন, 'অসুস্থতার কারণে গত ১৪-১৫ দিন ধরে বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। প্রথমে তাঁকে লখনউয়ের মেদান্তায় ভর্তি করা হয়েছিল এবং তারপর SGPGI-এ স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে তিনি রাত ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন।'


সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করে কবির মৃত্যু সংবাদে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি কবির একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'তো অব ইস গাঁও সে / রিশ্তা হমারা খতম হোতা হ্যায় / ফির আঁখে খোল লি যায় কি / সপনা খতম হোতা হ্যায়।' এরপর তিনি লেখেন, 'দেশের জনপ্রিয় কবি মুনাওয়ার রানার মৃত্যুর খবর অত্যন্ত কষ্টকর। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। সশ্রদ্ধ প্রণাম।'


 






এই খবর শুনে প্রতিক্রিয়া জানান সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র ফকরুল হাসান চাঁদ। তিনি বলেন, 'মুনাওয়ার রানা সাহাব দেশের নামকে বিশাল উচ্চতায় নিয়ে যান। তাঁর প্রয়াণে সমাজবাদী পার্টি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছে তাঁর প্রতি। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।'


মুনাওয়ার রানা কে?


সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কবিতা লেখার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন মুনাওয়ার রানা। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি, উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে। তিনি তাঁর চিন্তা-উদ্দীপক এবং আবেগপূর্ণ লেখনির জন্য স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর কবিতায় প্রায়শই সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মানুষের অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়েছে।


আরও পড়ুন: Top Social Post: বাবার জন্মদিনে খোলা চিঠি স্বস্তিকার, টলিউডের রবিবাসরীয় পিকনিক, আজকের সোশ্যালের সেরা পোস্টগুলি


রানার কবিতার প্রথম সংকলন 'আঘাজ়' (শুরু)-এর হাত ধরেই খ্যাতি লাভ করেন, যা ১৯৭১ সালে মুক্তি পায়। এরপর বছরের পর বছর ধরে তিনি একাধিক কবিতার সংকলন প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে 'সরহদ' (সীমারেখা), 'মুহাজিরনামা' (অভিবাসীর গল্প), 'শাহদাবা' (মধু আহরণকারী) অন্যতম বিখ্যাত। তাঁর লেখা 'মা' কবিতাটি অন্যতম জনপ্রিয় সৃষ্টি এবং এটি উর্দু সাহিত্যে আলাদা বিশেষ স্থান পেয়েছে।  


মুনাওয়ার রানার পরিবারে তাঁর স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।