কলকাতা : ২২ তারিখেই বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগরে ভোট। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। প্রচারে নিয়ন্ত্রণ করে ৪ পুরসভায় ভোট চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কী গাইডলাইন ? এনিয়ে আজই ঘোষণা করবে কমিশন।


রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কোভিড-বিধি মেনে পুরভোট হবে ? এই প্রশ্নই আজ ওঠে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে। এনিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ২২ তারিখেই নির্ধারিত সময় মেনে বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগরে পুরভোট হবে। কিন্তু, ভোটি প্রক্রিয়া ও প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ জারি করছে কমিশন।


আরও পড়ুন ; ২২ তারিখেই পুরভোট, তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকল কমিশন


প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রচারের ক্ষেত্রে যাতে বন্ধ ঘরে ২০০ জনের বেশি লোকজন না থাকে, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি খোলা জায়গায় ৫০০ জনের বেশি প্রচার করতে না পারেন, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার রাজ্যের বকেয়া মোট ১১৪টি পুরভোটের (৫টি  পুরনিগম ও ১০৯টি পুরসভা) দিনক্ষণ সম্পর্কে কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।কিন্তু রাজ্য সরকার যে সমস্ত বিধিনিষেধ জারি করেছে সেখানে পুরভোটগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। 


এদিকে, করোনা-দাপটের মাঝেই পুরভোটের মনোনয়ন ঘিরে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এদিন বিধাননগর প্রশাসনিক ভবনে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বিধাননগর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জয়দেব নস্কর। অভিযোগ, কোভিড বিধি অগ্রাহ্য করে মিছিল করে আসেন তৃণমূল প্রার্থী। কর্মী, সমর্থকদের অধিকাংশেরই মুখে ছিল না মাস্ক। তৃতীয় ঢেউকে রাজ্যে এনেছে তৃণমূলই, দাবি বিজেপির। মনোনয়ন জমা দিতে কাউকে সঙ্গে আনিনি, সল্টলেকের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসেছেন, পাল্টা দাবি তৃণমূল প্রার্থীর। উল্লেখ্য, এবার প্রচারপর্ব শুরু হলে সংক্রমণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।