রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পুরভোট (Municipality Vote) জল্পনার আবহে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বিজেপি (BJP) শিবিরে ফের ভাঙন। তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির (BJP) সাধারণ সম্পাদক। পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন ডোমকলের টাউন বিজেপি সভাপতিও। আর এই দলবদল নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে দুই শিবির। 


পুরভোট জল্পনার মধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপিতে ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র। পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন ডোমকলের টাউন বিজেপি সভাপতি অভীক দাসও।


সোমবার বহরমপুরে (Baharampur) তৃণমূলের জেলা সদর কার্যালয়ে জোড়া ফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন দুই বিজেপি নেতা। যোগদানপর্ব পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। 


বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী নেতা তপন চন্দ্রর কথায়, যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করেও দীর্ঘদিন ধরে লোকসভা ভোট ও বিধানসভা ভোটে বঞ্চিত হয়েছি। সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়েও ক্ষোভ। রাজ্য নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ রয়েছে। তাই দল ছাড়লাম। তৃণমূল আমাকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে জয়েন করাল।


মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই এই যোগদান। দলে তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেব। জেলা সাধারণ সম্পাদকের দলবদলকে অবশ্য আমল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। 


মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি  সভাপতি শাখারব সরকার জানিয়েছেন, আগে সিপিএম করত। তারপর আপ। তারপরে বিজেপিতে এসেছিলেন। এখন তৃণমূলে। উনার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। এলেই বা কী, গেলেই বা কী।


২৭ ফেব্রুয়ারি শতাধিক পুরসভায় বকেয়া ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদে নজরকাড়া ফল করেছে তৃণমূল। 
বিজেপি যে দুটি আসন পেয়েছে, তার একটি হল বহরমপুর। 


মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার আওতাভুক্ত বহরমপুর পুরসভা। এবারের বিধানসভা ভোটের ওয়ার্ডভিত্তিক ফল অনুযায়ী ২৮ ওয়ার্ডের বহরমপুরসভায় মাত্র একটি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। সিংহভাগ আসনেই এগিয়ে বিজেপি। সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদকের দলবদলে পুরনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরে কোনও প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই দেখার। 
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে