মুর্শিদাবাদ: দশমীতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ডুমনিদহ বিলে জোড়া নৌকাডুবিতে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন।


মুর্শিদাবাদে জোড়া নৌকাডুবিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। কার গাফিলতিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা? এ নিয়ে পরষ্পরবিরোধী দাবি পুজোর উদ্যোক্তা ও দুর্ঘটনাগ্রস্থ নৌকার মাঝির। মাঝির ওপর দায় ঠেলেছেন উদ্যোক্তারা। পাল্টা মাঝির দাবি, আগেথেকেই সতর্ক করেছিলেন তিনি।

নৌকার মাঝি আত্মারাম হালদারের দাবি,  অনেকে মিলে নৌকোয় উঠেছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য। বারবার সতর্ক করা হলেও, কেউ কোনও কথা শোনেনি। তার জেরে টাল সামলাতে না পেরে ডুবে যায় নৌকো।

কিন্তু, যে বাড়ির পুজোর বিসর্জনের সময় নৌকাডুবি হয়েছে, সেই হাজরা বাড়ি পুজোর উদ্যোক্তা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নৌকাটি  ছোট ছিল, ফুটো ছিল। প্রথম থেকেই জল ঢুকছিল।

স্থানীয় সূত্রে দাবি, দুটি নৌকায় প্রায় ৩০-৩৫জন যাত্রী ছিলেন। নৌকায় থাকা বেশিরভাগ লোকজন সাঁতরে পাড়ে আসতে পারলেও, খোঁজ মিলছিল না পাঁচজনের। রাতে একে একে বিলের জল থেকেই উদ্ধার হয় পাঁচজনের নিথর দেহ।

বিলের জলের গভীরতা খুব বেশি নয়। ৭ থেকে ৮ফুট। কিন্তু, বিলের মাঝখানে নৌকা উল্টে, কাঠামোর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বজিত্‍ হালদার আমরা যদি জানতে পারতাম, বাঁচাতে পারতাম।

বিসর্জনের বিষাদ ছাপিয়ে গোটা এসাকায় এখন আপনজনদের হারানোর শোক।