রাজেশ্বরী নামে মেয়েটির বাবা-মা কেউ নেই। তার বাবা সারাভানন কুলির কাজ করতেন আবদুল্লাদের বাড়ি ও কুন্নারিয়ামের খামারে। সেই সূত্রে যোগাযোগ গড়ে ওঠে দুতরফে। সারাভানন, তাঁর স্ত্রী মারা গেলে রাজেশ্বরীকে নিজেদের মেয়ের মতো স্নেহ-ভালবাসা দিয়ে বড় করার ভার নেন আবদুল্লা দম্পতি।
রাজেশ্বরীর পালিত বাবা বলেছেন, ও যখন আমাদের বাড়ি প্রথম আসে, ওর বয়স ছিল ৭-৮ । এখন ২২।
রাজেশ্বরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বিষ্ণু নামে এক যুবক। আবদুল্লা, তাঁর পরিবার বিষ্ণুর বাড়ি যান বিয়ের কথা পাকা করতে। আলোচনায় বিষ্ণুর বাবা-মা বালাচন্দ্রন ও জয়ন্তী শর্ত দেন, বিয়েটা অবশ্যই হতে হবে কোনও মন্দিরে। উভয় পরিবার কানহাংগড়ে মানাইয়াত্তু মন্দিরকে বিয়ের স্থান হিসাবে বেছে নেয়। ওই মন্দিরের দরজা সব ধর্মের মানুষের জন্য খোলা থাকে। আবদুল্লার ৮৪ বছর বয়সি মা সাফিইউম্মা সমেত অন্য আত্মীয়স্বজন বিয়ের আসরে যোগ দিতে এলে মন্দিরে তাঁদের স্বাগত জানান বিষ্ণুর বাড়ির লোকজন। বিয়ের অনুষ্ঠান হয় মন্দিরের গর্ভগৃহে। যদিও সেখান থেকে নিজেরাই দূরে সরে থাকেন আবদুল্লার বাড়ির সদস্যরা। তবে পাত্রপক্ষই তাঁদের নবদম্পতির কাছে এসে তাদের আশীর্বাদ করতে বলেন।