রাঁচি: ঝাড়খন্ডের গারওয়া জেলায় গোহত্যা রুখতে গিয়ে প্রাণ গেল মুসলিম যুবকের। গত সোমবার রাতে জেলার উছারি গ্রামের ঘটনায় নিহত যুবকের নাম মহম্মদ আরজু। বয়স ১৮। ঘটনাচক্রে যে দুজন তাকে গলা কেটে খুন করে বলে অভিযোগ, তারাও মুসলিম। মুন্নু কুরেশি ও কায়েল কুরেশি। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরজুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করে খোঁজখবর করতে ওই গ্রামে গিয়েছেন রাজ্য়ের পানীয় জল সরবরাহমন্ত্রী মিথিলেশ ঠাকুর। তিনি স্থানীয় বিধায়ক।
ছেলের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডে সুবিচার চেয়ে নিহত আরজুর মা বলেছেন, আমার ছেলে গোহত্যায় বাধা দিত বলে আমাদের নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে ওকে। সোমবার রাতে কয়েকজন যুবক ওকে খুন করে। মঙ্গলবার সকালে মিথিলেশ ঠাকুর গারওয়ার সাসার হাসপাতালে গেলে নিহত যুবকের মা আয়েশা খাতুন তাঁকে সবিস্তারে সব জানান। সূত্রের দাবি, তিনি কঠোর শাস্তি চেয়েছেন ছেলের খুনীদের। বন্ধু কায়েলকে গোহত্যা না করার জন্য পীড়াপীড়ি করায় গলা কেটে আরজুকে হত্যা করে তিনজন।
ইনস্পেক্টর রাজেশ কুমার বলেছেন, নিহতের মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলে এলাকার পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে বলে নিয়মিত ওদের গোহত্যা ছেড়ে দিতে বলত। সেজন্যই তাকে খুন করা হয়। এফআইআরে তিনি নাম করেছেন কাইল কুরেশি, মুন্নু কুরেশি, খালিদ কুরেশি, এই তিনজনের।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত কাইল কুরেশি জন্তু-জানোয়ার হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লোকজনের ওপর হামলা করায় কুখ্যাত। অতীতে সে নিজের পরিবারের লোকজনের ওপরও আক্রমণ চালিয়েছে। এই মামলায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে সব দিক বিবেচনা করা হবে বলেও জানান রাজেশ কুমার।