Earthquake Aftershock: মায়ানমারে ভূমিকম্পে তৈরি হয়েছে ৩৩৪ পরমাণু বোমার শক্তি! আফটারশক কাঁপাতে পারে বিশ্বকে, নয়া বিপদের আশঙ্কা

Myanmar Earthquake: মার্কিন ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন, মায়ানমারে শুক্র-সকালের ভূমিকম্পের কারণ ছিল ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ভারতীয় পাতের সংঘর্ষ

Continues below advertisement

নয়া দিল্লি: ভয়ঙ্কর কম্পন! তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে একের পর এক বহুতল। মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত ছবির মতো সাজানো শহর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভয়াবহ ভূমিকম্পে মায়ানমারে মৃত্যু মিছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও অনেকের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা, ফলে আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। আহত সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। মায়ানমারে ভূমিকম্পের জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। জোরালো কম্পনে রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ ৩০ তলা একটি বাড়ি। 

Continues below advertisement

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির রিপোর্ট অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭।  তার ঠিক ১২ মিনিটের মাথায় ফের কম্পন! এবার কম্পনের মাত্রা ৬.৪। দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আবার একই ঘটনা। যদিও তৃতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। কম্পনের উৎস বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে। মূহূর্তের মধ্যেই যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একাধিক জায়গা।

এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর বিপদের কথা জানিয়েছেন মার্কিন ভূবিজ্ঞানী। মার্কিন ভূবিজ্ঞানী জেস ফিনিক্স আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় জানিয়েছেন, মায়ানমারে শুক্র-সকালের ভূমিকম্পের কারণ ছিল ইউরেশীয় পাতের সঙ্গে ভারতীয় পাতের সংঘর্ষ। এবং সেই সংঘর্ষ এখনও থামেনি বলেই মত তাঁর। ইতিমধ্যে মায়ানমার ১৫ বা কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্প এবং ১৪টি আফটার শক।                         

বিজ্ঞানীর মতে, মাটির নীচে যে দুই পাতের সংঘর্ষ হয়েছে তার ফলে নির্গত হয়েছে ব্যাপক পরিমাণ শক্তি, হিসেবে যা অন্তত ৩৩৪টি পরমাণু বোমার শক্তির সমান। সেই কারণেই কম্পন এত তীব্র এবং এই বিশাল সংখ্যার আফটারশক।  

এই ভূমিকম্পে শুক্রবার সকালে মৃদু কম্পন অনুভূত হয় কলকাতাতেও। বেশ কয়েকটি জেলাতেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাও। কাকদ্বীপ, ঘুটিয়ারি শরিফ, মহিষাদল এমনকী ওড়িশার কেন্দাপাড়াও কেঁপে ওঠে। 

এদিকে, কলকাতা এখন ছেয়ে গেছে আকাশছোঁয়া বহুতলে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পে বিশাল বহুতলেই ঝুঁকি বেশি। কিছুদিন আগেই কলকাতা ও শহরতলিতে প্রচুর হেলা বাড়ির ছবি দেখা গেছিল। মাটি কেঁপে উঠলে সেই সব বাড়ির বিপদ সবচেয়ে বেশি বলে দাবি ভূতত্ত্ববিদদের।                                                           

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola