লখনউ: নৃশংস না মর্মান্তিক! এই মৃত্যুকে কোনও বিশেষণই যথার্থভাবে বর্ণনা করা যাবে না। এক বালকের বিকৃত মৃতদেহ এমনই প্রশ্ন তুলে দিল দেশে। মনুষ্যত্ব নিয়ে উঠল নানা মন্তব্য। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরের নারওয়াল এলাকায় একটি খামারে সোমবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ১০ বছরের একটি ছেলের বিকৃত দেহ পাওয়া গেছে। 


ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চোখের মধ্যে নখের আঁচড় দেখতে পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই বালকের মুখে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকার চিহ্ন ছিল। শরীরের নানা অংশে রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। শুধু তাই নয়, গলায় রয়েছে আঘাতের চিহ্নও। পুলিশের অনুমান গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। 


এই মামলার তদন্তের জন্য একাধিক তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিত বালকটি নারওয়ালের বেহতা গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার বিকেলে খেলতে বেরিয়েছিল তিনি। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। মঙ্গলবার গভীর রাতে স্থানীয় রমেন্দ্র মিশ্রের খামারে তার নগ্ন দেহ পাওয়া যায়। অন্য একটি খামার থেকে ছেলেটির জামা উদ্ধার করা হয়েছে। 


পুলিশের সিইও ঋষিকেশ যাদব বলেছেন, "মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে।" ফরেনসিক দল কাছের একটি খামার থেকে একটি খালি বোতল দেশি মদের, দুটি গ্লাস এবং রক্তে মাখা একটি লাঠিও পেয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের পর হত্যার দিকটিও খতিয়ে দেখছে।


অন্যদিকে, সোমবার তামিলনাড়ুর তিরুপুর জেলার নাল্লুর কাছে ড্রেনের ভিতরে একটি পরিত্যক্ত স্যুটকেস থেকে পাওয়া গেল এক মহিলার মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে দেহটি একেবারে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তিরুপুর-ধারাপুরম ন্যাশনাল হাইওয়ের ব্যস্ত রাস্তার পাসে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রক্তের দাগ সহ  নীল স্যুটকেসটি দেখতে পান অনেকেই। এরপরই পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী। নল্লুর গ্রামীণ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্যুটকেসের ভিতর মৃতদেহ দেখতে পায়। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য তিরুপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।