কলকাতা: দেশে প্রচণ্ড খরা। খাবারের অভাবে বুনো হাতির দল ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এই পরিস্থিতিতে নামিবিয়া ঠিক করেছে, ১৭০টি বুনো হাতি নিলামে তুলবে তারা। কারণ দেশে হাতির সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, তাল মিলিয়ে বাড়ছে মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ।

আফ্রিকার দক্ষিণের এই দেশটির পরিবেশ মন্ত্রক এ কথা জানিয়েছে। রাজ্য সরকারি এক সংবাদপত্রে এ নিয়ে বিজ্ঞাপনও বেরিয়েছে। বলা হয়েছে, চোরাশিকার ও পরিবেশগত কারণে হাতিরা এখন বিপন্ন, তাই এভাবে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা।  নামিবিয়া বা বিদেশের যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করবে, তাদের কাছেই হাতি বিক্রি হবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে এই করোনার মধ্যে হাতিদের কোয়ারান্টাইনের সুবিধে ও যে জমিতে হাতি রাখা হবে, সেখানকার জন্য যেন তাদের গেম-প্রুফ ফেন্স সার্টিফিকেট থাকে।

আর যদি কোনও বিদেশি হাতি কিনতে উৎসাহী হন, তবে তাঁকে প্রমাণ দেখাতে হবে যে তাঁর দেশের প্রশাসনের ওই হাতি আমদানির ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই।

আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের মত নামিবিয়াও হাতি ও গণ্ডারের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। জঙ্গল, ঘাসজমি কমে আসা, খরা, খাবারের অপ্রতুলতা ও পরিবেশ পাল্টে যাওয়ার মত নানা কারণে তারা লোকালয়ে এসে পড়ছে, ফলে ঘটছে সংঘর্ষ। ১৯৯৫-এ নামিবিয়ায় হাতির সংখ্যা ছিল ৭,৫০০, ২০১৯-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪,০০০। হাতি বাঁচাতে আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্যও পায় তারা। যদিও গত বছর নামিবিয়া জানিয়ে দিয়েছে, বিপন্ন জন্তুদের বাঁচাতে যে আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে সেখান থেকে তারা নিজেদের সরিয়ে নিতে চায়। বিপন্ন জন্তুর শিকার বা বিদেশে রফতানিতে তাদের আপত্তি নেই, এর ফলে যে অর্থ উঠবে, তাতে ওই সব জীবজন্তুর রক্ষণাবেক্ষণ হবে বলে তাদের দাবি।