কলকাতা: এবার সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল গড়িয়াহাট থানায়। তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে। এদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৬, ১৬৬ এ, ১৮৮ ও ৩৪ নম্বর ধারায় দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোমবার লালবাজারে একটা অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে লালবাজার থেকে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ পাঠানো হয়, যেহেতু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গড়িয়াহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে ১৬৬ এবং ১৬৬-এ ধারায় মামলা হয়। এর সঙ্গে আছে ১৮৮ এবং ৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও মামলা হয়েছে। যেহেতু কোভিড বিধির মধ্যে সিবিআইয়ের তল্লাশি চলে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা হয়েছে।
নারদ-মামলায় গ্রেফতার সোমবার গ্রেফতার করা হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ওইদিন সকালে আচমকাই বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনকে। এরপর নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়।কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আচমকাই ফিরহাদ হাকিম সহ বাকিদের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। বিনা নোটিসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ হাকিমের।
উল্লেখ্য, সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে সিপির কাছে দ্বারস্থ হয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবারই সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে লালবাজারে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ দায়ের করে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বেআইনিভাবে নেতাদের বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের কাছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের। তাঁরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়াই রাজ্যপালের নির্দেশে সিবিআইয়ের গ্রেফতার করা হয়েছে। মোদি, অমিত শাহের নির্দেশে কাজ করছে স্বশাসিত সংস্থা সিবিআই।
এদিকে আজ, হাইকোর্টে শুরু হয়েছে নারদ-মামলার শুনানি। ৪ হেভিওয়েট অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিন-স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনা আর্জির শুনানি শুরু হয়েছে।