কলকাতা: রাজ্যে এল আরও ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬০ কোভিশিল্ড। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে এল ভ্যাকসিন। আজ সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এসে পৌঁছায় ভ্যাকসিন। রাজ্য সরকারের কেনা এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে। সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে। 


ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে অনেকের। এবার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পালা। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেলেও এখনও ডোজ নিতে পারছেন না অনেকেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রোজ রোজ খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। কলকাতা থেকে দেগঙ্গা। রাজ্যজুড়ে অব্যাহত ভ্যাকসিন দুর্ভোগ। কোথাও লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। কোথাও আবার ভ্যাকসিনের লাইনেই তুমুল বচসা, হাতাহাতি। গত কয়েকদিন ধরেই এহেন ছবি সামনে এসেছে। এই আবহে রাজ্যে ফের এল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। 


গত সপ্তাহে রাজ্যে পৌঁছয় প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ কোভিশিল্ড। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লক্ষ কোভিশিল্ড সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সরাসরি কিনেছে রাজ্য সরকার। বাকি ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড কেন্দ্র পাঠাচ্ছে।  এয়ার এশিয়ার বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় এই ভ্যাকসিন। 


সম্প্রতি রাজ্য সরকার ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার কোভ্যাকসিন এবং ১৪ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ডের বরাত দেয়। ৫ মে রাজ্যে এসেছে কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড মিলিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো ৫ লক্ষ ভ্যাকসিন।  এর মধ্যে ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন ও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এই পাঁচ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছে। গতমাসে রাজ্যে আসে ৪ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ।


এদিকে রাজ্যের আকাশে বহাল কোভিডের কালো ছায়া। গত কয়েকদিনের মতোই দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছুঁইছুঁই। দৈনিক মৃত্যুও দেড়শো ছুঁইছুঁই। গতকাল, মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪২৮ জন। এই সময় ব্যবধানে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের।


রাজ্যে সংক্রমণের বিচারে এই মুহূর্তে সব জেলার ওপরে উত্তর ২৪ পরগনা। মৃত্যুতে কলকাতা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ৪ হাজার ১১৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এদিকে, কলকাতায় এই সময়পর্বে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। নতুন করে সংক্রমিত ৩ হাজার ৭৮৫। সংক্রমণ ও মৃত্যুর নাগপাশে থাকা হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর ও নদিয়া নিয়েও চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।