নয়াদিল্লি: পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে এবার Wikipedia-কে নোটিস ধরাল কেন্দ্রীয় সরকার। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই নোটিস বলে জানানো হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম না বলে কেন Wikipedia-কে প্রকাশনা সংস্থা বলে গন্য করা হবে না, তার জবাব চাওয়া হয়েছে। Wikipedia-য় প্রকাশিত তথ্যসমূহ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।


ইন্টারনেট এনসাইক্লোপিডিয়াকে যে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্র, তাতে বলা হয়েছে, সম্পাদকদের একটি ছোট গোষ্ঠী Wikipedia-র সমস্ত তথ্য় নিয়ন্ত্রণ করে। এতে Wikipedia-র নিরপেক্ষতা নষ্ট হওয়ার এবং প্রকাশিত তথ্যসমূহকে প্রভাবিত করার যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। তাই Wikipedia-কে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে কেন গন্য করা হবে, কেন আর পাঁচটা প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে ধরা হবে না, জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।


কেন্দ্রীয় সরকার এবং Wikipedia, দুই তরফেই এই নোটিস নিয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে যে সময় কেন্দ্রের তরফে Wikipedia-কে এই নোটিস ধরানো হল, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই মুহূর্তে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে, যেখানে সংবাদ সংস্থা Asian News International (ANI) মানহানির মামলা দায়ের করেছে। Wikipedia-য় ANI-কে ভারত সরকারের 'প্রপাগান্ডা টুল' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কে বা কারা ANI সম্পর্কে এমন মন্তব্য লিখছে, সেই নিয়ে বিশদ তথ্য চেয়ে মামলা করেছে ANI. আর সেই আবহেই Wikipedia-কে নোটিস ধরাল কেন্দ্র।



কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য় ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে নোটিস ধরানো হয়েছে Wikipedia-কে। Wikipedia অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া, যেখান থেকে কোনও ব্যক্তি, কোনও ঘটনা, ইতিহাস সম্পর্কে বিনামূল্যে তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য মজুত রয়েছে সেখানে। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, ৩০০-র বেশি ভাষায় ৫ কোটি ৬০ লক্ষ নিবন্ধ রয়েছে Wikipedia-র। প্রয়োজনে নয়া তথ্য আপলোড করার পাশাপাশি, নতুন তথ্য যোগ করা এবং বাদ দেওয়াও যায়। 


এ বছর সেপ্টেম্বর মাসেই সেই নিয়ে Wikipedia-র সমালোচনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। চাইলে যে কেউ কেন তথ্য আপলোড করতে পারবেন, ইচ্ছে মতো কেন তথ্য যোগ করা বা বাদ দেওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। ANI-এর তরফে যে মানহানির মামলা করা হয়েছে, তার শুনানিতেই এমন প্রশ্ন তোলে আদালত। যদিও Wikipedia আদালতে জানায়, যে কেউ চাইলেই তথ্য নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে পারেন না। মস্তত আইনি নির্দেশিকা মানলে, তবেই সেই অধিকার প্রদান করা হয়। আইনি বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখেই সংস্থার নীতিতে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে বলে জানায় তারা।