গুজরাত সফরের প্রথম দিন থেকেই পাকিস্তানকে অল আউট অ্যাটাক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দোহোধের সভা থেকে পাকিস্তানকে হুঁশইয়ারি দিয়ে মোদি বলেছিলেন, 'সুখে-শান্তিতে দিন কাটাও, রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো আছেই'। মঙ্গলবার গান্ধীনগর থেকে মোদি আবারও দিলেন কড়া বার্তা । বললেন, 'এবার গুলির জবাব গুলিতে'। এদিনের সভা থেকে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলেছে ভারত। দেশবাসীর মন জাতীয়তাবাদের আবেগে টইটম্বুর। 

পাকিস্তানের কড়া নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, সোজাসুজি লড়াইতে না পেরে ছায়াযুদ্ধ চালিয়েছে পাকিস্তান। সুযোগ পেলেই নিরীহদের মেরেছে তারা। এবার গুলির জবাব দেওয়া হবে গুলিতেই। ভারতও প্রতিবেশী দেশের সুখ চায়। নিজেরা সুখে থাকো আমাদেরও সুখে থাকতে দাও। পরিষ্কার বলে দেন, 'আর সহ্য করার দিন নেই'...সঙ্গে সঙ্গে চারিপাশ থেকে উঠতে শুরু করে মোদি-মোদি রব।  

তিনি বলেন, "এই মাটি বীরদের ভূমি। এখনও পর্যন্ত, ৬ মে-র দৃশ্য দেখার পর, আমরা যাকে ছায়া যুদ্ধ বলতাম, আর তাকে আর ছায়া যুদ্ধ বলার ভুল করতে পারি না।  মাত্র ২২ মিনিটের মধ্যে ভারত সন্ত্রাসবাদের ৯ টি আস্তানা চিহ্নিত করে ধ্বংস করা করে ... এবার, সবকিছু ক্যামেরার সামনে করা হয়েছিল, যাতে কেউ দেশে ফিরে প্রমাণ চাইতে না পারে..."

সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা হলেও, আপাতত জলচুক্তি স্থগিতই থাকছে। স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত । এবার মোদি বললেন, 'আমরা তো এখনও কিছু করিইনি আর তাতে পাকিস্তান ঘামতে শুরু করেছে'। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি নতুন প্রজন্মকে বলতে চাই...আপনি যদি ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তিটি পড়েন, তাহলে অবাক হবেন। তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল , জম্মু ও কাশ্মীরের নদীর উপর নির্মিত বাঁধগুলি পরিষ্কার করা হবে না। জলাশয় পরিষ্কারের জন্য নিচের দরজাগুলি বন্ধ রাখা হবে। ৬০ বছর ধরে, এই দরজাগুলি কখনও খোলা হয়নি।  জলাশয়গুলির ১০০% ধারণক্ষমতা কমে এখন মাত্র ২% বা ৩% এ নেমে এসেছে। এখনও, আমি কিছুই করিনি এবং সেখানে পাকিস্তান  ঘামতে শুরু করেছে। আমরা বাঁধ পরিষ্কারের জন্য ছোট দরজা খুলেছি এবং আর তাতেই সেখানে  বন্যা দেখা দিয়েছে..."

মোদি আরও বলেন, পাকিস্তান নামক কাঁটাটি সরিয়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন,দেশভাগের সময়, মা ভারতীকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। সেই রাতেই মুজাহিদিনরা কাশ্মীরে প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলা চালায়। এরপর পাকিস্তান মুজাহিদিনের সহায়তাতেই  ভারতমাতার একটি অংশ দখল করে নেয়। 'যদি ওই দিন এই মুজাহিদিনদের হত্যা করা হত এবং সর্দার পটেলের পরামর্শ মেনে নেওয়া হত, তাহলে গত ৭৫ বছর ধরে  এই  সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা দেখা যেত না'