নয়া দিল্লি : পহেলগাঁও-প্রত্যাঘাতের নীল নকশা এঁকেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আর নামকরণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। সারা দেশ যখন প্রত্যাঘাতের প্রত্যাশায় দিন গুনেছে, তখনই প্রধানমন্ত্রী শুনিয়ে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনও মতে আর রেয়াত নয় ! যে কোনো কোনা থেকে টেনে বের করে আনা হবে এই জঘন্যতম অপরাধীদের। অবশেষে পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা, সিঁদুর মুছে দেওয়ার পাল্টা অ্যাকশন নিল ভারত। অপারেশন সিন্দুর-এ মাত্র ২৫ মিনিটের অপারেশনে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেদিল ভারতীয় সেনা। আর এই অপারেশনের পরদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। তারপর মন্ত্রিসভার সামনেই বলেন, 'সবার জন্য গর্বের দিন'।
সেনাকে কুর্নিশ ক্যাবিনেট মন্ত্রীদেরও 'সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। অপারেশন সিঁদুর হল পহেলগাঁওয়ে নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রত্যুত্তর। ভারত এবং তার জনগণের ওপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদি সরকার বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে নির্মূল করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ' এক্স হ্যান্ডলে লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ' ভারত মাতা কী জয়।' এক্স হ্যান্ডলে লেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সূত্রের খবর ক্যাবিনেট বৈঠকে , এয়ারস্ট্রাইকের জন্য বাহিনীর প্রশংসা করে গোটা মন্ত্রিসভা। এরপর রাষ্ট্রপতিভবনে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতিকে প্রত্যাঘাত নিয়ে তথ্য দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সর্বদল বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার।
কুর্নিশ বিরোধীদেরও
ইতিমধ্যেই বিরোধীদের তরফেও ভারতীয় সেনার এই বিক্রমকে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। 'সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত। জয় হিন্দ।' অপারেশন সিঁদুর নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। 'ভারতের জাতীয় নীতি হল, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে বিনাশ করা। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আমরা গর্বিত। তাদের সংকল্প ও সাহস প্রশংসার যোগ্য। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই জাতীয় কংগ্রেস সীমান্ত-পার সন্ত্রাস মোকাবিলায় সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্তের পাশে আছে। জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সবার আগে।' এক্স হ্যান্ডলে লেখেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুরের জেরে বিদেশ সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী। ক্রোয়েশিয়া, নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ডস সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।