নয়াদিল্লি: রাজনীতিতে যখন ছাত্র তিনি, পুরোদস্তুর নেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি (Lal Krishna Advani)। ৯৫ বছর বয়সে এখন আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন আডবানি। কিন্তু তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর জন্মদিন আডবানির। ৯৫ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। জন্মদিনেই আডবানিকে বাড়ি বয়ে গিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি (Lal Krishna Advani Birthday)।  


জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আডবানির বাড়িতে মোদি


আডবানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন মোদি। সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। সেখানে লাল গোলাপের তোড়া আডবানির হাতে তুলে দেন মোদি। খোলা আকাশের নিচে, সবুজ ঘাসের উপর পাশাপাশি চেয়ার-টেবিলে বসেও থাকতে দেখা গিয়েছে দু'জনকে। নিজেই ছবি সামনে এনেছেন মোদি।



এ দিন সোশ্যাল মিডিয়াতেও আডবানিকে আলাদা করে আডবানিকে শুভেচ্ছা জানান মোদি। তিনি লেখেন, 'আডবানিজির বাড়িতে গিয়ে ওঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম। ভারতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ওঁর। দূরদৃষ্টি এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য দেশের সর্বত্র সমাদৃত উনি। বিজেপি-র খুঁটি মজবুত করতে ওঁর ভূমিকার অতুলনীয়। ওঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্থতা কামনা করি'।



আরও পড়ুন: Narendra Modi: হিন্দু-শিখরা দেশভাগের শিকার, মোদির মুখেও নাগরিকত্ব, তীব্র প্রতিক্রিয়া


আডবানির বাড়িতে মোদির প্রবেশের ভিডিও সামনে এনেছে দূরদর্শনও। তাতে মোদিকে স্বাগত জানাতে দেখা গিয়েছে আডবানি-কন্যা প্রতিভা আডবানিকে। খোলা বাগানে আডবানির হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মোদি। তার পর একসঙ্গে বসে কথা বলেন দু'জনে। তাতে দু'জনকেই সহাস্য আলোচনায় লিপ্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। 


অটল বিহারি বাজপেয়ীর সরকারে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আডবানি। বিগত তিন দশকে বিজেপি-কে মূলস্রোতের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার নেপথ্যে আডবানির ভূমিকা অনস্বীকার্য। নয়ের দশকে লোকসভায় যেখানে মাত্র দু'টি আসন ছিল বিজেপি-র, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রাপ্তি ঘটে বিজেপি-র। 


এককালের দাপুটে নেতা আজ রাজনীতিতে সক্রিয়ই নন


আটের দশকে অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনকে সব স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যেও আডবানিই ছিলেন। সেই দাবি নিয়ে তাঁর নেতৃত্বেই বেরিয়েছিল 'রথযাত্রা', যা রাজনীতিতে তাঁকে প্রতিষ্ঠা দেয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথমে দাবিদার ছিলেন আডবানিই। কিন্তু জনপ্রিয়তায় তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ায়, শেষমেশ মোদিই বিজেপি-প প্রার্থী হন। আইন নিয়ে পড়াশোনা আডবানির। আজীবন বিজেপি-র অভিভাবক সংস্থা রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। এক কন্যা এবং এক পুত্র রয়েছে তাঁর। ২০১৬ সালে মারা যান স্ত্রী। আদতে করাচিতে জন্ম। দেশভাগের পর মুম্বই চলে আসে পরিবার।