গুয়াহাটি : পরের লোকসভা ভোটের পর টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আত্মবিশ্বাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধী কংগ্রেসের এই মুহূর্তে যে আসন রয়েছে, তাও পুনর্দখল করতে পারবে না তারা, বলে বৃহস্পতিবার অসমের এক সভা থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন শাহ। অসম সরকারে চাকরির জন্য ৪৪ হাজার ৭০৩ জনকে নিয়োগপত্র বিলির অনুষ্ঠানে সামিল হন তিনি। সেখানকার সভামঞ্চ থেকেই কংগ্রেসকে একহাত নেন শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতিবাচক মনোভাব আছে। এবং নতুন সংসদ ভবনের নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নিয়ে তারা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শাহ।
সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ব্রাত্য রাখার বিরোধিতায় একজোট হয়েছে বিরোধী শিবির। রবিবার নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে তারা। গত বুধবার ২০টি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, তারা নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করবে। তালিকায় রয়েছে- কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সিপিআই, সিপিএম, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টিসহ মোট ২০টি দল।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'সংসদের অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি, তিনি যৌথ সংসদীয় অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং সভা স্থগিত করেন। সংসদে পাস করা আইন কার্যকর করতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে রাষ্ট্রপতিকে ছাড়া সংসদ অচল।' সূত্রের খবর, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবে শিরোমণি অকালি দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেস এবং টিডিপি।
খুলতে চলেছে নয়া সংসদ ভবন। ২৮ মে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প, সেন্ট্রাল ভিস্তার (Central Vista) অংশ এই নয়া সংসদ ভবন (New Parliament Building)। তাঁর হাতেই উদ্বোধন হবে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে মে মাসের শেষেই কেন্দ্র মোদি সরকারের নয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোদি। নয়া সংসদভবন উদ্বোধনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তার পূর্তিও।
এই পরিস্থিতিতে অসমের সভা থেকে কংগ্রেসকে একহাত নেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, "কংগ্রেসের নেতিবাচক মনোভাব আছে। ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু, কংগ্রেস এটাকে বয়কট করে রাজনীতি করছে। তাদের যুক্তি, রাষ্ট্রপতির এর উদ্বোধন করা উচিত।" তাঁর দাবি, কংগ্রেস এবং একাধিক বিরোধী-শাসিত রাজ্যে এমন উদাহরণ রয়েছে, যেখানে রাজ্যপালের পরিবর্তে বিধানসভা ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা এবং সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মতো কংগ্রেস নেতারা।
পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, "৩০০-র বেশি আসনে জিতে নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন পরের বছর। কংগ্রেস বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে। তাছাড়া লোকসভায় এখন তাদের যা আসন আছে, সেটাও ধরে রাখতে পারবে না তারা।"