বুলধানা ও মুম্বই:  মহারাষ্ট্রের বুলধানায় আদিবাসী আবাসিক স্কুলের ১২ ছাত্রীকে দিনের পর দিন গণধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধ! ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা  হয়ে পড়ে ৩ ছাত্রী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। নারকীয় ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ শিক্ষক-সহ গ্রেফতার ১১ জনকে। বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
ঘটনায় প্রকাশ, মুম্বই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে বুলধানা জেলার খামগাঁও মহকুমার অন্তর্গত লোখন্ডপালার নানজি কোকারে আদিবাসী আশ্রমশালায় থাকত ওই ছাত্রীরা।
সকলের বয়স ১২ থেকে ১৪-র মধ্যে।দীপাবলির ছুটিতে সবাই বাড়ি ফিরেছিল। তখন জানা যায় ভয়াবহ ঘটনার কথা। অভিযোগ, ১২ জন ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয়।
অভিযোগকারিণী ১২ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩ জন দীপাবলীতে জলগাঁও জেলায় নিজেদের বাড়ি ফিরে আসে। দীপাবলীর উৎসব চলাকালীন অন্য সব মেয়েরা আনন্দে ছোটাছুটি করলেও ওই তিনজন একপাশে চুপচাপ বসেছিল। প্রশ্ন করলে বলে, তাদের পেট ব্যথা করছে। চিকিৎসকের কাছে গেলে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে তিনজনেই।
বাবা মায়েরা পুলিশের অভিযোগ করলে তদন্তে উঠে আসে এক হাড় হিম করা তথ্য। জানা যায়, ওই নারকীয় কাণ্ড ঘটিয়েছে শিক্ষক সহ আবাসিক স্কুলের অন্যান্য কর্মীরা। এমনকী বাদ যায়নি প্রধান শিক্ষকও! এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় প্রধান শিক্ষক পুরোদমে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল, ধৃতদের মধ্যে ৭ জন ওই স্কুলেরই শিক্ষক! আরও ২ অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বেশিরভাগই স্থানীয় শিক্ষক, প্রধানশিক্ষক, পিওন ও অন্যান্য অশিক্ষক কর্মচারী। তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছে সমস্ত কর্মচারীকে।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশে গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে সিট। স্থানীয় বিধায়ক জানিয়েছেন, দোষীদের চরম শাস্তি দাবি করবেন তাঁরা। দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আকোলা জেলার একটি হাসপাতালে ওই ১২ ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে।