মুম্বইঃ মারাঠাওয়াড়ার বিড়ে জল আনতে গিয়ে ফের মৃত্যু। এ নিয়ে তিনদিনের মধ্যে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু।

মঙ্গলবার হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ১২ বছরের একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। তারপর আজ সচিন গোপীনাথ কেদার নামে ভিড়া গ্রামের ১১ বছর বয়সি একটি ছেলে বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে কুয়ো থেকে জল আনতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

অন্য একটি ঘটনায়, সাবালখেড় গ্রামে যোগীতা অশোক দেশাই নামে এক মহিলা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটি নলকূপ থেকে পাঁচবারের চেষ্টায় জল ভরতে গিয়ে ডিহাইড্রেশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মারাঠাওয়াড়ায় খরা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। জলের অভাবে প্রতিটি পরিবারের সব সদস্যকেই তীব্র গরম উপেক্ষা করে বহু দূরের পুকুর বা নলকূপ থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। এর ফলেই মৃত্যু, অসুস্থতার ঘটনা দেখা যাচ্ছে।

ঔরঙ্গাবাদের ডিভিশনাল কমিশনার উমাকান্ত ডাঙ্গাত জানিয়েছেন, মারাঠাওয়াড়া অঞ্চলের বাঁধগুলিতে মাত্র তিন শতাংশ জল অবশিষ্ট। ১১টি বড় বাঁধের মধ্যে আটটি থেকেই জল সরবরাহ করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট বাঁধগুলি থেকে জল তুলে নেওয়া যেতে পারে। গত বছর এই সময় মারাঠাওয়াড়ায় জলসঙ্কট এত তীব্র আকার ধারণ করেনি। বাঁধগুলিতে ১১ শতাংশ জল ছিল। কিন্তু এবার সঙ্কট বেড়েই চলেছে।