নয়াদিল্লি: আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা। রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকরী মনে করা হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভস ইত্যাদিকে। তাই সেসব কেনার জন্য সর্বত্র হুড়োহুড়ি। চলছে কালোবাজারি। মাস্ক-স্যানিটাইজার অনেক জায়গাতেই অমিল। পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাস্কের অভাবে অনেকেই ব্যবহার করছেন রুমাল বা কাপড়।


ছবিটা বদলাতে এগিয়ে এল অনন্যা পটেল।

কে এই অনন্যা? বারাণসীর বাসিন্দা। বয়স? মাত্র ১১ বছর! করোনার জেরে যখন ত্রস্ত সকলে, তখন নিজের হাতে মাস্ক বানাচ্ছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

অনন্যা বারাণসীর মুর্জা মুরাদ অঞ্চলের বাসিন্দা। লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল। বাড়িতে বসেই অনন্যা শুনেছে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কথা। খুদে পড়ুয়া প্রথমবার সেলাই মেশিনে বসছে। আর তৈরি করছে মাস্ক। অনন্যা জানিয়েছে, করোনার প্রকোপ কমলেও মাস্ক তৈরি করেই যাবে। যাতে গরিব মানুষেরা দূষণ থেকে বাঁচতে কম দামে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।



বাড়িতে বানানো মাস্কও করোনা প্রতিরোধে সক্ষম - একথা ঘোষণা করা হয়েছে ভারত সরকারের তরফেই। এমনকী, নিয়মিত পরিষ্কার করে নিলে এই মাস্ক ব্যবহার করা যায় একাধিকবার। বারাণসীর অনন্যার ভাই কাপড় কেটে দিচ্ছে। আর তাই দিয়েই পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া বানিয়ে ফেলেছে মাস্ক। এখনও অবধি ৭০টি মাস্ক বানিয়েছে সে।

খুদে কন্যার এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন খোদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢড়া। অনন্যার মাস্ক বানানোর ছবি ট্যুইট করে তিনি রবিবার লেখেন, 'প্যায়ারি অনন্যা পটেল আপ জো কর রহী হো, ওহ সচ্চি দেশভক্তি হ্যায়। আপকি তরহা হাজারো ভারতীয় হ্যায় জো করোনা কে খিলাফ জঙ্গ মে দেশ কে লিয়ে আপনি ভূমিকা আদা কর রহে হ্যায়। হামে আপ পর নাজ হ্যায়'। অর্থাৎ, অনন্যা তুমি যা করছো সেটাই আসল দেশভক্তি। তোমার মতো আরও অনেক ভারতীয় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজের নিজের ভূমিকা পালন করছে। আমার তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে।



অনন্যা নিজে কী বলছে? ‘জানি না আমি ভবিষ্যতে কী হব। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সকলের উচিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করা,’ ক্লাস ফাইভের পড়ুয়ার গলায় সংকল্প।