নয়াদিল্লি: ডিমোনেটাইজেশনের পর দেশে ১২ লক্ষ নতুন নোট চালু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সংসদে এই তথ্য জানালেন অরুণ জেটলি।
এদিন লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১১,৬৪,১০০ নতুন নোট বাজারে চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে ২ সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। ফলে, সংখ্যাটি ১২ লক্ষ ছাড়িয়েছে বলেই বিশ্বাস।
তবে, নোট বাতিলের ঘোষণার পর থেকে কত পরিমাণ পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে, সেই তথ্য দিতে পারেননি তিনি। জেটলি বলেন, আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য প্রত্যেক নোট খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। নকলের থেকে আসলকে আলাদা করে রাখতে হচ্ছে। এটা ভীষণ বড় কর্মকাণ্ড। এখনই বলা সম্ভব নয়। তাঁর আশ্বাস, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই কাজ সম্পন্ন করলে তবেই তিনি এই সংক্রান্ত উত্তর দিতে পারবেন।
পাশাপাশি, নোট ছাপায় সরকারের কত খরচ হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত তথ্যও সবিস্তারে এদিন জানাতে পারেননি জেটলি। বলেন, এক-একটি পুরনো ৫০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হত ২.৮৭ টাকা থেকে ৩.০৯ টাকা।
অন্যদিকে, পুরনো বাতিল হওয়া প্রতি ১০০০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হত ৩.৩৪ টাকা থেকে ৩.৭৭ টাকা। তাঁর মতে, নতুন ৫০০ টাকার নোট ছাপার খরচ প্রায় পুরনোর মত। যদিও, নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাপতে কত খরচ হচ্ছে, সেই তথ্য দেননি তিনি। বলেন, নোট ছাপার খরচ উপাদান ও শ্রমের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এছাড়া, মেশিনের বয়স ও শ্রমিকদের দক্ষতার ওপরও খরচ নির্ভর করে।
মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর অনুযায়ী, নিট প্রত্যক্ষ কর থেকে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ ১,৪০,৮২৪ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই পরিমাণ ছিল ১,৩৫,৬৬০ কোটি টাকা।