উরন: একদল রহস্যময় লোক ঘোরাঘুরি করছে মহারাষ্ট্রের উরনে। তাদের গায়ে পাঠানি শেরওয়ানি। তাদের ভাষা বোঝা যাচ্ছে না, শুধু শোনা গেছে স্কুল আর ওএনজিসি। হাতে সন্দেহজনক বাক্স, যাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা বিচিত্র নয়। একদল স্কুল পড়ুয়ার এমন দাবিতে হইচই পড়ে যায় নভি মুম্বইয়ের উড়ান নৌঘাঁটিতে। ২৬/১১-তেও এভাবে সমুদ্রের পথে মুম্বই ঢুকে তছনছ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। উরন জুড়ে জারি হয় হাই অ্যালার্ট। একসঙ্গে তল্লাশিতে নামে নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড ও মহারাষ্ট্র এটিএস। কিন্তু ৪ দিন তন্নতন্ন করে খোঁজাখুঁজিতেও কিছু না মেলায় উরন পুলিশ নিশ্চিত, ওই ছাত্রছাত্রীরা নেহাত উত্তেজনার আঁচ পোয়াতেই রহস্যময় আগন্তুকের গল্প ফেঁদেছিল।


যে মেয়েটি প্রথম বন্দুকবাজের উল্লেখ করে, তার বয়স মাত্র ১২। অ্যালার্ট জারির দু’দিন পর তাকে ফের জেরা করে পুলিশ। তখন সে স্বীকার করে, হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, পরনে কালো পোশাক আইএস জঙ্গিদের ছবি দেখেছিল সে। তাই উত্তেজনা ছড়াতে দাবি করেছিল, সেও ও ধরনের লোকেদের দেখেছে উরনে। তার দেখাদেখি আরও কয়েকজন পড়ুয়া দাবি করে, তারাও দেখেছে রহস্যময় লোকেদের এলাকায় ঘুরে বেড়াতে।

ছোট একটি মেয়ের নিছক গল্পে সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনায় হইচই পড়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং হালকাভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বোঝানো হয়েছে, এ ধরনের মজা করলে তার ফল কী হতে পারে। যদিও নিরাপত্তা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের এই দাবি ভুয়ো প্রমাণিত হলেও এ ধরনের দাবি উড়িয়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, যদি কারও দাবি সত্যি হয়, তবে তা জঙ্গি হানা ঠেকাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে বারবার মিথ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হলে এমন দাবিকে প্রতিবার গুরুত্ব দেওয়া নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে কঠিন।