নয়াদিল্লি: ন্যায্য বেতন চেয়েছিল মেয়েটি। সেটা তো দেওয়া হলই না, উল্টে তাকে খুন করে দেহ কেট তিন টুকরো করে ফেলে দেওয়া হল নর্দমায়। নৃশংস এই ঘটনা দিল্লির। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ১৬ বছরের ওই মেয়েটিকে পরিচারিকার কাজ করার জন্য তিন বছর আগে ঝাড়খণ্ড থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। মেয়েটি পরিচারিকার কাজ করছিল কিন্তু বেতন পাচ্ছিল না। যে তাকে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিল, সে বেতনের সব টাকা নিয়ে নিচ্ছিল। এক বছর পরে মেয়েটি কাজ ছেড়ে দেয়। এ মাসের তিন তারিখ সে মনজিৎ কারকেটা নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে বেতনের টাকা চায়। এরপর সঙ্গীদের নিয়ে তাকে খুন করে মনজিৎ। পরদিন একটি নর্দমা থেকে মেয়েটির দেহের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়।

তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে কোনও সূত্র পাচ্ছিল না। মীনাওয়ালি নগরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ওই অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বাড়ি আছে। সেগুলির উপর নজর রাখা শুরু হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মেয়েটি খুন হওয়ার পর থেকেই ঝাড়খণ্ডের এক বাসিন্দার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার খোঁজে ঝাড়খণ্ডে গ্রামের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ জানতে পারে, এ মাসের ১৭ তারিখ দিল্লিতে ভাড়াবাড়িতে আসবে মনজিৎ। তখন তাকে ধরার জন্য তৈরি হন তদন্তকারীরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় তাকে।

জেরার মুখে মনজিৎ জানিয়েছে, সে ও তার দুই সঙ্গী ঝাড়খণ্ড থেকে গরিব পরিবারের অল্পবয়সি মেয়েদের দিল্লিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়ে আসত। এই মেয়েটিকেও সেভাবেই আনা হয়। তারা তিনজন মিলে মেয়েটিকে খুন করেছে।