মুম্বই:  একবছর ধরে ১৬ বছর বয়সি এক ছেলেকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল ১৫ জন কিশোরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ছেলেটি আন্ধেরির বাসিন্দা। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি ওই কিশোর নিজের এক বন্ধুর কাছে এই পাশবিক অত্যাচারের কথা জানায়। শেষবার তারওপর এই যৌন অত্যাচার চালানো হয় গত ২৬ জুন। ১৫ জন অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়ার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় যৌন অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। ছেলেটিকে ব্ল্যাকমেল পর্যন্ত করত ১৫ জন কিশোর।

পুলিশের কাছে ছেলেটি জানিয়েছে, তাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয় ২০১৬ সালে। কিশোরের পাশের বাড়ির প্রতিবেশী এক বন্ধুই তাকে প্রথম ধর্ষণ করে। সেই ছেলেটিই আবার ওই যৌন অত্যাচারের দৃশ্যটি ভিডিওয়ে তুলে নিয়ে তার অন্য বন্ধুদের দেখায়। এই ঘটনায় মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় আক্রান্ত কিশোর। ভয়ে সে পরিবারের সদস্যদেরও কিছু জানায় না। এরপরই মূল অভিযুক্ত ওই ভিডিওটি দেখিয়ে আক্রান্ত কিশোরকে তার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করে। তাদের কথা না মানলেই ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত কিশোরকে বাড়ির কাছের একটি পুরসভার স্কুলের মাঠে নিয়ে গিয়ে একে একে ধর্ষণ করত কিশোরের দল। এই পাশবিক অত্যাচারেই শেষ হয়নি ওই পনেরো কিশোরের কর্মকাণ্ড। শুরু হয় টাকা চাওয়া। টাকা দিয়ে অস্বীকার করায়, গত ২৬ জুন ফের ওই কিশোরকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে  ১৫ জনের দলটি। এছাড়াও গত এক বছরে বিভিন্ন সময় নানা কারণে ছেলেটিকে ডেকে ধর্ষণ করে ওই কিশোরের দল। তাদের দাবি না মানলেই চলত বেধড়ক মার।

যে পনেরো জন কিশোর এই অত্যাচার চালিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে। যেহেতু এই নোঙরা কাজে যুক্ত ১৫ জন ছেলেই নাবালক, তাই আটক সাতজনকে আপাতত ডোঙরি চিলড্রেনস হোমে রাখা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রেশমি কারানডিকার জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের সন্ধানে রয়েছে পুলিশ।