যোধপুর: ব্লু হোয়েলের শিকার, যোধপুর লেকে গতকাল মধ্যরাতে ঝাঁপ ১৭ বছরের এক কিশোরীর। যদিও তাকে শেষপর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মেয়েটির হাতে ব্লু হোয়েল আঁকা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।


যোধপুর লেকের আশেপাশে মেয়েটিকে তার স্কুটার নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল বেশ কিছুক্ষণ ধরে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

পুলিশকে ওই কিশোরী বলে, চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ না করলে তার মা মারা যাবে। এ কথা বলেই সে জলে ঝাঁপ দেয়।

সঙ্গে সঙ্গেই তাকে জলে নেমে উদ্ধার করে নিয়ে আসে ডুবুরিরা। পরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেয়।

কিশোরীর বাবা-মা জানিয়েছেন, মেয়েটি তাঁদের বলে সে বাজারে যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না ফেরায়, মেয়েকে বারংবার ফোন করতে থাকেন কিশোরীর বাবা। সেই সময়ই একবার মেয়েটির ফোন কোনও এক অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তি ধরাতেই তাঁরা বুঝে যান, মেয়ে তাঁদের মিথ্যে বলে বেরিয়েছে। কিশোরীর বাবা বিএসএফ-এর সঙ্গে যুক্ত।

আতঙ্কিত হয়ে মেয়েকে খুঁজতে শুরু করলেই বাবা-মা জানতে পারেন, মেয়েকে লেকের চারপাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। পুলিশকে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ঘটনা সম্পর্কে সজাগ করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মেয়েটিকে আটাকানোর চেষ্টা করতেই সে জলে ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে জল থেকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোরী জানায়, তাকে একটি কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপরই হাতে ছুরি দিয়ে ব্লু হোয়েল আঁকা দেখে পুলিশের বুঝতে একটুও দেরি হয়নি, মেয়েটিও মারণ অনলাইন গেমের শিকার।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই মারণ অনলাইন গেমের ফাঁদে পড়েছে বহু কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী। মৃত্যুর খবর এসেছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্য থেকে। ইতিমধ্যে এই গেমের অন্যতম অ্যাডমিন ১৭ বছরের এক কিশোরীকে রাশিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখানকার পুলিশের জালে আগেই বন্দি হয়েছে গেমের মূল মাথা। তবে তাতেও গেমের থাবা থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না পরবর্তী প্রজন্মকে।