মুম্বই: ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম অপরাধী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বিশেষ টাডা আদালত।


তার দুই সাগরেদ ফিরোজ খান ও তাহির মার্চেন্টকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রিয়াজ সিদ্দিকিকে। করিমুল্লা শেখকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। ২ লাখ টাকা করে জরিমানা হয়েছে সালেম ও করিমুল্লার।

আবু সালেম সহ ৫ জনকে মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বাকি ৪ জন হল তাহির মার্চেন্ট, ফিরোজ খান, করিমুল্লা শেখ ও রিয়াজ সিদ্দিকি। আর এক অপরাধী মুস্তাফা দোসার ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। প্রমাণাভাবে ছাড়া পেয়েছে কায়ুম শেখ নামে এক অভিযুক্ত।

৯৩-এর ধারাবাহিক মুম্বই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৪০০-র বেশি। বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে সামিল ছিল আবু সালেম। অবৈধভাবে দেশে অস্ত্রশস্ত্র এনেছিল সে। বিস্ফোরণের ছকের খুঁটিনাটি জানা ছিল তার, ছিল প্রত্যক্ষ সহযোগিতা। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বাড়ি দুটো রাইফেল রেখে এসেছিল সে।

গ্রেফতার এড়াতে পর্তুগাল চম্পট দেয় সালেম। ২০০২-এ তাকে গ্রেফতার করে পর্তুগাল পুলিশ। ২০০৫-এ তাকে তারা তুলে দেয় ভারতের হাতে।

তবে সালেমকে ফাঁসির সাজা দেওয়া যায়নি কারণ পর্তুগাল এই শর্তেই তাকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করে যে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। ৩ অপরাধী ফিরোজ খান, তাহির মার্চেন্ট ও করিমুল্লার জন্য মৃত্যুদণ্ড চায় সিবিআই।