নয়াদিল্লি: শিক্ষক পথে আনার চেষ্টা করেছিলেন। সেজন্য শিক্ষককেই পথ থেকে সরিয়ে দিল ছাত্র।
অভিযোগ, অপর্যাপ্ত হাজিরার জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করায় স্কুলের মধ্যে শিক্ষককে কুপিয়ে খুন করেছে দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র। দিল্লির একটি সরকারি স্কুলের এই ঘটনা গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
পশ্চিম দিল্লির নাঙ্গলোইয়ের রাজকীয় সর্বোদয় বিদ্যালয়ে সোমবার পরীক্ষা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের দাবি, পরীক্ষা শেষে হিন্দির শিক্ষক মুকেশ কুমার যখন খাতাপত্র গোছাচ্ছেন, তখনই আচমকা দুই ছাত্র ছুরি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। মুকেশ কুমারকে মাটিতে ফেলে কোপাতে শুরু করে তারা।
চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে যায় অন্য ছাত্ররা। চিৎকার শুনে অন্য শিক্ষকরা এসে মুকেশ কুমারকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন শিক্ষকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজন এক ক্লাসে তিনবার ফেল করে। এরপরও সে নিয়মিত স্কুলে আসত না। তাই তাকে স্কুল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেন হিন্দির শিক্ষক মুকেশ কুমার। সেই মতো ওই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়।
শিক্ষকের এই শাসন যে তাদের পথে আনার জন্য, তা বোঝেনি ওই ছাত্র। উল্টে এর বদলা নিতেই সে ও তার বন্ধু মুকেশ কুমারের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষকের পরিবারকে এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে দিল্লি সরকার।
মঙ্গলবার স্কুলে জড়ো হয়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান স্কুলের শিক্ষকরা।