রায়পুর: মাওবাদী দমনে পরপর বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। ছত্তিশগড়ের বস্তারে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় বিস্ফোরণে অ্যাম্বুলেন্স উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত মাওবাদী নেতা অর্জুন মঙ্গলবার চান্দোমেটার জঙ্গলে যৌথ নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে। বুধবারও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ৪ মাওবাদী, দান্তেওয়াড়া জেলায়। এদের মধ্যে কমান্ডার স্তরের এক মহিলা ক্যাডার আছে। ২০১৩ সালে জিরাম ভ্যালিতে ভয়াবহ মাওবাদী হামলা চালানো দলের এক সদস্যও নিহতদের মধ্যে আছে। তবে তীব্র গুলির লড়াইয়ে জখম হয়েছে এক জওয়ান।

 

দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার কামলোচন কাশ্যপ জানিয়েছেন, ডাব্বা-কুন্না পাহাড়ে এদিন ভোরে মাওবাদীদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয় সিআরপি, জেলা রিজার্ভ পুলিশ, এসটিএফের যৌথ দলের। গতকাল রাতে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকা মাওবাদীদের খুঁজে বের করতে অভিযানে গিয়েছিল যৌথ দলটি। ডাব্বা গ্রামের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যে করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকে মাওবাদী দলটি। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনীও। চার জঙ্গি মারা যায়। তাদের মধ্যে একজন মহিলা। পরণে ইউনিফর্ম, বিস্ফোরক, অস্ত্রশস্ত্রও ছিল তার কাছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ক্যাডারের নাম মাদকামী দেভে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির ২৬-তম প্ল্যাটুনের কমান্ডার। নিহত আরেক মাওবাদী হল মাসা। সে মাওবাদীদের কাটেকল্যাণ এরিয়া কমিটির কমান্ডার। জিরাম ভ্যালিতে ২০১৩ সালে মাওবাদী হামলায় কংগ্রেস নেতাদের নিহত হওয়ার ব্যাপারে তার খোঁজ চলছিল। বাকি দুজনের পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জিরাম ভ্যালির হামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী মহেন্দ্র কর্মা, ছত্তিশগড়ের তত্কালীন কংগ্রেস সভাপতি নন্দকুমার পটেল, শীর্ষ কংগ্রেস নেতা বিদ্যাচরণ শুক্ল সহ ২৭ জন নিহত হয়েছিলেন।