শ্রীনগর: দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের ব্যস্ত রাস্তায় সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে হল ৫। বুধবার প্রকাশ্য দিবালোকে দুঃসাহসিক হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। তারা সংখ্যায় ছিল ২ জন। সম্ভবত, জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য তারা। যদিও বর্তমানে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া আল-উমর মুজাহিদিন নামে একটি গোষ্ঠী এর দায় নিয়েছে। অমরনাথ যাত্রার সূচনার তিন সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকতে এই বড়সড় হামলা করল সন্ত্রাসবাদীরা। ২০১৭-র অমরনাথ যাত্রার মধ্যেই খানাবলে তীর্থযাত্রীদের বাসের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আটজনকে মেরেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা।
মোটরসাইকেল চড়ে আসা ২ জঙ্গি অনন্তনাগের খানাবল-পহেলগাঁও রোডে সিআরপিএফের টহলদার দলের ওপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই এক জওয়ান মারা যান। জখম হন কয়েকজন। যৌথ টহলদার দলে ছিলেন সিআরপিএফের ১১৬ ব্যাটালিয়নের ব্র্যাভো কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশের জওয়ানরা। তাঁরা হামলার সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিদের পাল্টা জবাব দেন। গুলিযুদ্ধে নিহত হন তাঁদের ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় ৯২ বেস হাসপাতালে। এর পরপরই সাদ্দার থানার স্টেশন হাউস অফিসার আরশাদ আহমেদের নেতৃত্বে সংঘর্ষস্থলে ছুটে যায় অতিরিক্ত বাহিনী। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীরা ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চালায় তাদের দিকে, গ্রেনেডও ছোঁড়ে। গুলিযুদ্ধে খতম হয় এক সন্ত্রাসবাদী, অন্যজন সেখান থেকে পালিয়েছে বলে ধারণা সরকারি অফিসারদের। আরশাদ আহমেদ জখম হন। তাঁকে শ্রীনগরে চিকিত্সার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, খানাবল-পহেলগাঁও রোডে জেনারেল বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার আগাম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গোয়েন্দা মহল, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।