পুলিশ জানিয়েছে, সিমাবুগুড়ি ও মারিয়ানিতে দুটি ট্রেনে ওই জঘন্য অপরাধের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে অকাট্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
গতকাল আরপিএফ ওই দুই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিকাশকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরায় বিকাশ তার শাগরেদের নাম জানায়। এরপরই বিকাশের শাগরেদ বিহারের বাসিন্দা, পেশায় রিক্সাচালক বিপিনকে পাকড়াও করে শিবসাগর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ।
গত ১০ জুলাই কামাখ্যা এক্সপ্রেসের শৌচাগার থেকে জোরহাটের অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন অবধ-অসম এক্সপ্রেসের শৌচাগার থেকে এক বয়স্ক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। দুজনকে একইভাবে হত্যা করা হয়।
আরপিএফের জেরায় বিকাশ কবুল করেছে যে, দুইজনকেই ধর্ষণ করার পর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে খুন করেছে সে ও তার শাগরেদ বিপিন। এরপর ট্রেনের ফাঁকা কোচের শৌচাগারে দেহ রেখে পালিয়ে যায় তারা।
তিনসুকিয়া স্টেশনে এক নিরাপত্তা কর্মী গামছা গলায় বিকাশকে দেখতে পান। এরপর আরপিএফ তাকে গ্রেফতার করে।
আগে তিনসুকিয়া স্টেশনের কাছে চা বিক্রি করত বিকাশ। পরে ট্রেনে পোশাক বিক্রি করত সে।
জেরায় বিকাশ জানিয়েছে, একই ধরনের দুষ্কর্ম করার ফন্দি নিয়ে সে ট্রেনে চেপে ফুর্কাটিং স্টেশনে যাচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
নিহত দুই মহিলার ফোন বিকাশের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, বিকাশের কাছ থেকে নির্যাতিত ছাত্রীর কানের দুল ও নির্যাতিত মহিলার পায়ের নুপূরও পাওয়া গিয়েছে।