শ্রীনগর: শ্রীনগরের নওগামে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে  নিহত দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি। এদের শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হল সবজার আহমেদ সোফি ও আসিফ আহমেদ। সবজার নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় বোটানি নিয়ে পিএইডি করতে করতে ২০১৬-র জুলাইয়ে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যাওয়ার পর সন্ত্রাসবাদীদের দলে ভিড়ে গিয়েছিল।

এই নিয়ে চলতি বছরে তিন উচ্চশিক্ষিত কাশ্মীরী যুবক সন্ত্রাসবাদে যোগ দিয়ে প্রাণ হারাল। ৩৩ বছরের সবজারের এমএসসি, বিএড ডিগ্রিও ছিল।

জনৈক পুলিশ কর্তা জানান, সূত্র মারফত নওগামের সুথু কোথেইর এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের গা ঢাকা দিয়ে থাকার খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী এদিন ভোরে সেখানে তল্লাসি অভিযানে যায়। জঙ্গিরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করলে দুপক্ষের গুলিবিনিময় হয় যাতে সবজার ও আসিফ খতম হয়। গুলি-বন্দুক, অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও  একাধিক আপত্তিকর নথিপত্রও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে। এনকাউন্টারের সমাপ্তির পর সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর দীর্ঘক্ষণ খণ্ডযুদ্ধ হয় দফায় দফায়। নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় প্রশাসন অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা চ্ছিন্ন করে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কাশ্মীরে শিক্ষিত যুবকদের একাংশের মধ্যে জঙ্গি হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। এ মাসের গোড়ায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র মান্নান বসির ওয়ানি উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। মে মাসে সন্ত্রাসবাদী বাহিনীতে সামিল হওয়ার দুদিন বাদে সোপিয়ানে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মহম্মদ রফি ভাট। চলতি বছরের শুরুতে গুলাম শাহ বাদশাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক এসা ফজলি নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলিযুদ্ধে নিহত হয়। ফজলি জঙ্গি দলের খাতায় নাম লেখানোর পর তার পথে হেঁটে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার জন্য আচমকা উধাও হয়ে যায় তেহরিক-ই-হুরিয়ত চেয়ারম্যান মহম্মদ আসরফ সেহরাইয়ের ছেলে জুনেইদ আশরফ সেহরাই।