নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ভারতের মাটিতে আফ্রিকান নাগরিকদের উপর হামলার অভিযোগে উত্তাল হয়েছে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি। বর্ণবিদ্বেষী হামলার অভিযোগে সরব হয়েছেন আফ্রিকার দেশগুলির প্রতিনিধিরা। ভারত এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে। এরই মধ্যে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল নাইজেরিয়ার দুই যুবককে। তাদের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের না কেনেডি ডমিনিক (৩৪) ও অ্যানায়ো গডসউইল (৩৫)। এ মাসের ১ তারিখ নয়াদিল্লির উত্তম নগর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।


সম্প্রতি নয়ডায় এক নাবালকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলেই ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার নাইজেরিয় ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে নাইজেরিয়ানদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের প্রমাণ পাওয়া গেল।

ডিসিপি, ক্রাইম (মাদক) রাজেশ দেও বলেছেন, ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের একটি দল অভিযান চালিয়ে এই দুই নাইজেরিয়কে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৪৯২ গ্রাম উন্নত মানের কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। এই কোকেনের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। এক আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানকারীই ওই দুই নাইজেরিয়কে কোকেন সরবরাহ করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আট বছর আগে ব্যবসা করার নামে ভারতে আসে মাদক চোরাচালান চক্রের মাথা গডসউইল। তার সঙ্গী কেনেডি ২০১৪ থেকে ভারতে আছে। প্রথমে কেনেডিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, গডসউইলের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে কোকেন কিনে সেটি বেশি দামে বিক্রি করে। কেনেডিই পুলিশকে গডসউইলের বাড়ি চিনিয়ে দেয়। এরপর গডসউইলকেও গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ২৮২ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতে আসার পর স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে থাকতে শুরু করে গডসউইল। নাইজেরিয়ায় তার দাদার একটি পোশাকের দোকান আছে। মাদক চোরাচালান করে পাওয়া অর্থের মাধ্যমে শাড়ি কিনে সেগুলি দাদার কাছে পাঠিয়ে দিত গডসউইল। এভাবে প্রচুর অর্থ রোজগার করে সে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত। সে আফ্রিকান বান্ধবীদের জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করত। এদেশে নিজের ও মহিলা সঙ্গীর নামে সম্পত্তিও কিনেছে গডসউইল।