নয়াদিল্লি: মৃত্যুর অভিনয় করে ধর্ষকের হাত থেকে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচল ৬ ও ৮ বছরের দুই শিশু! মর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে। নির্যাতিতাদের অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। ওইদিন সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা নাগাদ ২ শিশু তাদের বাড়ির সামনে খেলছিল। অভিযোগ, পঙ্কজ কুমার নামে প্রতিবেশী ব্যক্তি তাদের ডেকে হাতে ১০০ টাকার নোট দিয়ে বলে পাশের দোকান থেকে বদহজমের ওষুধ নিয়ে আসতে।


শিশুরা তা না পেয়ে ফিরে এলে, অভিযুক্ত বলে তার সঙ্গে আরেকটি দোকানে যেতে। শিশুদের সে টফি কিনে দেওয়ার কথাও জানায় বলে অভিযোগ।


এর মধ্যে একটি শিশুর দিদি পঙ্কজের পথ আটকে বলে তার বোনকে ছেড়ে দিতে। অভিযোগ, পঙ্কজ শিশুর দিদিকে চড় মেরে সরিয়ে দেয়। মেয়েটি কাঁদতে শুরু করলে, অভিযুক্ত তার হাতে পাঁচ টাকা দিয়ে বলে বাড়ি ফিরে যেতে।


এরপর, অভিযুক্ত পঙ্কজ ২ শিশুকে একটি পার্কে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। বাধা দিলে, পঙ্কজ তাদের মারধরও করে বলে অভিযোগ। শিশু দুটি কাঁদতে শুরু করলে পঙ্কজ তাদের মুখে সজোরে মারে। এরপর, সে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।


প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়লে অভিযুক্ত ২ শিশুকে একটি নালায় ফেলে চম্পট দেয়। পুলিশের কাছে একটি শিশু জানিয়েছে, সে কীভাবে মরে যাওয়ার অভিনয় করে প্রাণে বেঁচেছে।


এরমধ্যেই ২ শিশুর খোঁজে গোটা এলাকায় তল্লাশি শুরু করে তাদের বাড়ির লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু, সারা রাত কিছুই মেলেনি। পরের দিন ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ পার্ক থেকে শিশুদের পরনের জামা খুঁজে পান এক শিশুর বাবা। তিনি চিৎকার করে মেয়েকে ডাকতেই, এক শিশু বেরিয়ে আসে। সেই তখন অন্যজনের খোঁজ দেয়।


২ শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের ভর্তি করা হয় অম্বেডকর হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, দুজনের অবস্থাই গুরুতর। তাদের পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে।


শিশুদের থেকে গোটা ঘটনার বয়ান শুনে ও বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করে পুলিশ পঙ্কজকে গ্রেফতার করে। আদালতে তোলা হলে পঙ্কজকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।