লখনউ: শনিবার তিনদিনের রাজ্য সফরে অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশে পা রাখতেই সমাজবাদী পার্টির (সপা) দুই ও বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) এক বিধান পরিষদ সদস্য দল ছাড়লেন। দুই সপা বিধায়ক বুক্কল নবাব, যশবন্ত সিংহ ও বসপা সদস্য ঠাকুর জিয়াবির সিংহ বিধান পরিষদের চেয়ারম্যান রমেশ যাদবকে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন।


বিজেপি সভাপতির সফরের প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা বিরাট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ তাদের ৫ মন্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাঁরা বিধানসভা বা বিধান পরিষদ, কোনওটারই সদস্য নন। ২ উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য, দীনেশ শর্মা, মন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব সিংহ, মহসিন রাজা, এঁরা কেউই দুই সভার কোনওটিতেই নির্বাচিত হয়ে আসেননি।

শোনা যাচ্ছে, আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার অন্তত ২জন মন্ত্রীর থাকার রাস্তা প্রশস্ত করতেই ইস্তফা দিলেন ২ সপা বিধান পরিষদ সদস্য।

নবাব পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে গত এক বছর ধরে দলে ''দম বন্ধ হয়ে আসছিল' বলে মন্তব্য করেন।

সেইসঙ্গে তিনি সপা, অখিলেশকেও আক্রমণ করে বলেন, সমাজবাদী পার্টি না বলে বরং সমাজবাদী আখড়া বলাই ভাল, দলটা এখন আখড়ায় পরিণত হয়েছে। নিজের বাবাকে মানিয়ে যিনি চলতে পারলেন না, তিনি  মানুষের সঙ্গে থাকতে পারবেন না, বোঝাই যাচ্ছে।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথের প্রশংসা করে নবাব বলেন, বিজেপি ভাল কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী-র সবকা সাথ, সবকা বিকাশ দারুণ স্লোগান। আমায় ডাকলে বিজেপিতে যেতেই পারি। আদিত্যনাথও ভাল কাজ করছেন।

আরও অনেক সপা বিধায়ক দল ছাড়বেন বলেও ইঙ্গিত দেন নবাব।

আচমকা দুজনের দলত্যাগে সপা প্রধান, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব হতবাক। ঈদের দিন তাঁর সঙ্গে নবাবের দেখা হয়েছিল, কেন হঠাত্ তাঁর এই 'হৃদয় বদল'', বুঝতে পারছেন না তিনি।

অখিলেশ বলেন, নবাবকে বলছি, বিজেপি নেতাদের (আদিত্যনাথের মন্ত্রীদের) ভোটে লড়ার সুযোগ তো দাও। কিছু বিধান পরিষদ সদস্যকে  টোপ দিয়ে দল ভাঙিয়ে শিখিয়েপড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে, যাতে ওদের নেতাদের মানু্ষের রায় নিতে না হয়! বিহারে বড় ধরনের 'রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি' দেখা গেল। উত্তরপ্রদেশেও তার পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে মনে হয়। কী হচ্ছে, মানুষ সবই দেখছেন, যারা যাওয়ার, তারা যাবেই, ঠেকানো যাবে না।