রায়পুর: দলের ঊর্ধ্বতন ক্যাডারের হাতে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল আত্মসমর্পণ করা ২ জন মাওবাদী নেত্রী।


খবরে প্রকাশ, শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৪০ জন মাওবাদী জগদলপুরের পুলিশ সদর দফতরে আত্মসমর্পণ করে। তাদের মধ্যেই ছিল এই ২ অভিযোগকারিণী।

বস্তারের পুলিশ সুপার আর এস দাশ বলেন, বস্তারের মুদেনার গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছরের এক মহিলা মাওবাদী অভিযোগ করে, তাকে বহুবার কাটেকল্যাণ স্থানীয় মাওবাদী সংগঠনের স্কোয়াড কম্যান্ডারের লালসার শিকার হতে হয়েছে।

দাশ যোগ করেন, ওই নেত্রী জানায়, সে গত তিনবছর ধরে ওই সংগঠনে ছিল। এই সময় ক্রমাগত ধর্ষণের ফলে সে গর্ভবতীও হয়ে পড়েছিল বলেও জবানবন্দিতে জানিয়েছে ওই মহিলা নেত্রী।

আরেক মহিলা ক্যাডারও একই অভিযোগ তোলে। কোদেনার গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার দাবি, বারসুর এরিয়া কমিটির ইন-চার্জ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের হাতে সে বহুবার ধর্ষিত হয়েছে।

দাশ জানান, ওই মহিলারা নিজেদের অভিযোগপত্রে এ-ও দাবি করেছে, তাদের নিয়মিত গর্ভনিরোধক ইঞ্জেকশন ও অষুধ দেওয়া হত।

যৌন হেনস্থায় বীতশ্রদ্ধ হয়েই মাওবাদী সংগঠন ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ওই ২ জন, বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই দুই মহিলা মাওবাদী ক্যাডারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।