তিনি জানান, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই সেরা হওয়ার দৌড়ে নামতে পারবে।। তৃতীয় একটি পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গুণমান পরীক্ষা করে দেখে সেরা ২০টিকে বাছাই করবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
মোদী বলেন, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রক্রিয়ায় শামিল হতে ডাক দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়ার থেকে বড় ব্যাপার এটা।
দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কার চলছে খুবই ধীর গতিতে, বলেছেন তিনি।
সেইসঙ্গে মোদী জানান, তাঁর সরকার দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে লাল ফিঁতের ফাঁস থেকে মুক্ত করে স্বাধীন বিকাশের সুযোগ করে দিতে চায়।
এদিন পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের মঞ্চে নীতীশ কুমারের সঙ্গে ছিলেন মোদী। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের শাসক জোটে ফেরার পর এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দুজনে।
লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি-র হাত ছেড়ে নীতীশ মোদীর হাত ধরায় তাঁর দল জেডি(ইউ)-য়ে তুমুল অশান্তি চলছে। নীতীশ অবশ্য তাকে আমল দিচ্ছেন না। এদিন ভাষণে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠানে এসেছেন। বিরাট সম্মানের দিন আজ।
মোদী বলেন, আশা করা যায়, ২০২২ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষ পালন করবে, বিহার দেশের সমৃদ্ধশালী রাজ্যগুলির সারিতে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীকে পটনা বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক ও মুখ্যমন্ত্রী সমেত অনেকে। বিমানবন্দর থেকে সোজা পটনা বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ৩৭০০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি বিহারে গত জুলাইয়ে নীতীশের নেতৃত্বাধীন জোটে সামিল হয়, জেডি (ইউ) আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার পর। তারপর এটাই মোদীর বিহারে প্রথম বড় সরকারি সফর।