গত ১৩ মে এনআইএ তাদের চার্জশিটে জানায়, প্রজ্ঞা ও মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় বাকি ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হওয়া মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আইনের কঠোর ধারাগুলিও তুলে নেওয়া হচ্ছে। এমনকী এক অভিযুক্তকে ফাঁসাতে জোর করে তাঁর কাছে বিস্ফোরক রেখে দিয়েছিল মহারাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ দমন স্কোয়াড (এটিএস), এমন অভিযোগও তোলে এনআইএ। তারা প্রজ্ঞার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেনি।
এর সুযোগ নিয়ে ৩০ মে প্রজ্ঞা জামিনের আবেদন করেন। এনআইএ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনেনি, তাছাড়া তিনি অসুস্থ, শরীর ভেঙে পড়ছে, এহেন সওয়াল করা হয় তাঁর তরফে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে চার্জ দাখিল করে এটিএস দাবি করে, মালেগাঁওয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে তাঁর মোটরসাইকেলে বোমা রেখে দেওয়া হয়েছিল।
প্রজ্ঞা দাবি করেন, বিস্ফোরণে ব্যবহার করা মোটর সাইকেলটি তাঁর হলেও সেটি ছিল রামচন্দ্র কালসাঙ্গরা নামে এক পলাতক অভিযুক্তের কাছে, সাক্ষীদেরই একজন এ কথা বলেছে। কী করে বহুদিন আগে বেচে দেওয়া মোটরবাইকটি বিস্ফোরণে লাগানো হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। প্রজ্ঞার জামিনের আবেদনে এও বলা হয়, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য যে সাক্ষীদের বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছিল, তাদেরই কয়েকজন পরে আগের বয়ান প্রত্যাহার করে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)র বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ এনেছে।
কিন্তু এনআইএ প্রজ্ঞাকে রেহাই দিলেও বিস্ফোরণে নিহতদের আত্মীয়, পরিজনেরা বেঁকে বসেন। তাঁদের দাবি, দক্ষিণপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর নেত্রীর বিচারের জন্য যথেষ্ট নথিপ্রমাণ জোগাড় করেছে এটিএস। বিস্ফোরণ জখম হওয়া জনৈক নিসার আহমেদ সঈদ বিলাল প্রজ্ঞার জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন পেশ করেন। তাঁদের দাবি, আদালত সব তথ্যপ্রমাণ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিক। এই মামলায় মকোকার ধারায় অভিযোগ আনা উচিত।