নয়াদিল্লি: অভিযুক্তদের মুখ ‘ধর্ষিতা’ চিনতে পারা সত্ত্বেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ৯ জনকে বেকসুর খালাস করল আদালত। ঘটনা দিল্লির।


খবরে প্রকাশ, ২০০৯ সালে বন্ধুর সঙ্গে নয়ডার একটি মল থেকে ফেরার পথে ‘গণধর্ষিতা’ হন ২৪ বছরের এক এমবিএ পাঠরতা ছাত্রী। তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, ওই বছরের ৯ জানুয়ারি, তাঁরা গাড়ি করে ফিরছিলেন। এমন সময় তাঁদের ব্যাট দিয়ে গাড়ি আটকায় ১১ জন যুবক। তারা একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখে ফিরছিল বলে জানা গিয়েছে।


তরুণীর অভিযোগ, গাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে সকলে। এরপর গাড়িটি আর্বান নয়ডার গার্হি চৌখণ্ডি গ্রামের কাছে দাঁড় করায় তারা। সেখানেই পালা পালা করে ওই ১১ জন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে, নয়ডা থানায় তরুণীর বন্ধু অভিযোগ দায়ের করে।


মামলায় অভিযুক্তরা ছিল—তুইয়াঁ, শ্রীকান্ত, সঞ্জয়, গৌতম, সুধীর, লিটল, ওঙ্কার, শশীকান্ত, পুষ্পেন্দ্র ও গোলু। এছাড়া, ওই দলে এক নাবালকও ছিল। এর মধ্যে মামলা চলাকালীন তুইয়াঁ মারা যায়। ফলে, এদিন ৯ অভিযুক্তকে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।


এর আগে, তাঁদের ওপর মামলা প্রত্যাহার করার চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মামলাটি নয়ডা থেকে তিস হাজারি আদালতে স্থানান্তর করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী ও তাঁর বন্ধু। শীর্ষ আদালত সেই আর্জি মেনে নিয়েছিল।


কিন্তু, তা সত্ত্বেও হুমকি চলতে থাকায় লন্ডনে পাড়ি দেন তরুণী। যদিও, তিনি জানান, ২০১২ সালের অক্টোবরে তিনি সব অভিযুক্তকেই চিনতে পেরেছিলেন।


অন্যদিকে, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী জানান, কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেইনি। তাঁর দাবি, অভিযোগকারিণী ও তাঁর বন্ধুকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে গ্রামবাসীরা। তাঁরা দুজনকে মারধর করে।