শ্রীনগর: কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমনে বড় সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর। খতম হল ২২ বছরের হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান মুজফফর ওয়ানি। অনন্তনাগের কোকেরনাগে সংঘর্ষে বুরহান নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


 

এর আগে যুবকদের সন্ত্রাসবাদে শামিল হওয়ার ডাক দিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে সম্প্রচারিত একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে তাকে। বলা হচ্ছে,  সে নিজে সরাসরি হিংসায় শামিল হয়নি বা একটিও গুলিও হয়ত ছোঁড়েনি। কিন্তু কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করার পিছনে মাথা ছিল বুরহান। তার পরিচিতিই হয়ে গিয়েছিল উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের ‘পোস্টার বয়’! এ জন্য মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় তার নাম ছিল। তাকে মরিয়া হয়ে খুঁজছিল পুলিশ। এমনকী তাকে ধরিয়ে দিতে পাকা খবর দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও  ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া আগাম খবরের ভিত্তিতে তাকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তাবাহিনী। সকালে বুমদুরা গ্রামে তাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সেনার যৌথ দল। সংঘর্ষে আরও ২ জঙ্গির সঙ্গে নিহত হয়েছে সে। এদের একজন কোকেরনাগেরই ছেলে। নাম সরতাজ।

বুরহান সম্পর্কে যেটা বিশেষ করে উল্লেখ করার, তা হল, দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রালের এক সম্পন্ন  পরিবারের ছেলে সে। বাবা স্কুলের প্রিন্সিপাল। ২০১০ সালে তার ভাই সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয় বলে অভিযোগ। তারই ‘বদলা’ নিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই হিজবুলে ভিড়ে যায় বুরহান।

কাশ্মীরে শিক্ষিত স্থানীয় যুবকদের বন্দুক হাতে তুলে নেওয়ার যে প্রবণতা দেখা যায়, বুরহানকে তাদেরই প্রতিনিধি ধরা হয়। বলা হয়, বুরহানের প্রভাবেই কাশ্মীরে বিদেশিদের তুলনায় স্থানীয় ছেলেদের উপস্থিতি বেড়েছে।

শেষ তাকে দেখা গিয়েছিল গত মাসে অনন্তনাগে তিন পুলিশকর্মীর নিহত হওয়ার পর সোস্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত ভিডিওতে। তাতে সে পুলিশের ওপর আরও হামলার হুমকি দেয়।