লখনউ: উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য জমা না দেওয়ায় প্রায় ২৩০০ মাদ্রাসা স্বীকৃতি হারাতে বসেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু কল্যাণমন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি বলেন, উত্তরপ্রদেশে মাদ্রাসা পর্ষদের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাদ্রাসা ১৯১০৮টি। এর মধ্যে ১৬৮০৮টি মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছে। কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই প্রায় ২৩০০ ওয়েবসাইটের ব্যাপারে। তাহলে এই মাদ্রাসাগুলি কোথায়? আমরা ওদের জাল বলে মনে করছি। জানুয়ারির শেষে এই মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদিও মাদ্রাসাগুলিকে তথ্য জানাতে চলতি মাস পর্যন্ত যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, সেই অবধি রাজ্য সরকার অপেক্ষা করবে। তবে নথিভুক্ত মাদ্রাসার কোনও পড়ুয়াকেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে না বলেও একইসঙ্গে জানান তিনি। চৌধুরি বলেন, ওয়েব পোর্টালে মাদ্রাসাগুলির বিস্তারিত তথ্য পেশের সময়সীমা গত বছর ১৫ জুলাই, ৩০ জুলাই ও ১৫ আগস্ট, দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার, ২৩০০ মাদ্রাসার একটিরও কোনও ছাত্র, শিক্ষক, প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজার, কেউই আমাদের কাছে আসেননি। বিরোধীরা ইস্যুটি নিয়ে রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য এটাই সুনিশ্চিত করা যে, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যেন শোষিত না হন, স্কলারশিপের টাকা সরাসরি পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। আগের আমলে জেলা স্তরের সংখ্যালঘু সংক্রান্ত অফিসারের থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হত। পুরানো নিয়মে ইতি টেনে বর্তমান সরকার মাফিয়াদের নাক গলানোর রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। শাহজাহানপুরে একটি ২০ কোটি টাকার মাদ্রাসা সংক্রান্ত আর্থিক কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ভিজিল্যান্স তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে। আমাদের নজরে এসেছে যে, একজন ছাত্র একাধিক মাদ্রাসায় নাম নথিভুক্ত করেছে। একইভাবে এমন শিক্ষকদের পাওয়া গিয়েছে যারা মাদ্রাসা পরিচালন কমিটির সদস্যদের আত্মীয়। এদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার রাহুল গুপ্তা বলেন, বিভাগীয় ওয়েবসাইটে তথ্য পেশ করার সময়সীমা শেষ। ফলে ২৩০০ মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হচ্ছে। তবে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠনের দাবি, সরকার মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সেগুলির প্রেক্ষাপট, বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখা উচিত।