আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সকালে ২২১২০ কারমালি-মুম্বই তেজস এক্সপ্রেসের ১৭০ জন যাত্রীকে নিরামিষ এবং ১৩০ জন যাত্রীকে প্রাতঃরাশ দেওয়া হয়। দুপুর বারোটা নাগাদ তিন যাত্রী বলেন, তাঁদের শরীর খারাপ লাগছে। পরে আরও ২১ জন যাত্রী একই কথা বলেন। মহারাষ্ট্রের চিপলুন স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে অসুস্থ যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তিন মাস আগেই কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) এক রিপোর্টে বলে, ভারতীয় রেলে ও স্টেশনগুলিতে যে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করা হয়, সেগুলি মানুষের খাবার যোগ্য নয়। কিন্তু তারপরেও যে ট্রেনে খাবারের মান বাড়েনি, সেটা আজকের ঘটনাতেই স্পষ্ট।
একটি বেসরকারি সংস্থাকে তেজস এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহের বরাত দিয়েছিল আইআরসিটিসি। সেই সংস্থার দেওয়া খাবার খেয়েই যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তেজস এক্সপ্রেস দেশের প্রথম সেমি-হাইস্পিড সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। সেই ট্রেনেরই খাবারে বিষক্রিয়া দেখা গেল। ফলে সাধারণ ট্রেনগুলির খাবারের হাল সহজেই অনুমেয়।