মোহালি: ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পিছনে জাল নোট মোকাবিলাকেও একটি কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল। কিন্তু জাল নোটের কারবারীরা নতুন ২০০০ টাকার জাল নোটও তৈরি করছে। পঞ্জাবের মোহালিতে পুলিশ ৪২ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে। সেগুলি ২ হাজার টাকার জাল নোট। এই ঘটনায় এক এমবিএ ছাত্রী ও তার তুতো ভাই সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হল কাপূরথালার এমবিএ ছাত্রী বিশাখা শর্মা, তার তুতো ভাই জিরাকপুরের অভিনব ভার্মা (বি-টেক)এবং তাদের সম্পত্তি কারবারী বন্ধু লুধিয়ানার সুমন নাগপাল। লালবাতি লাগানো অডি গাড়ি থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। তাদের দুই শাগরেদ এখনও ফেরার। মোহালির এসপি পারমিন্দর সিংহ ভান্ডাল এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত জাল নোটগুলির সঙ্গে আসল ২ হাজার টাকার নোটের খুবই মিল রয়েছে। নোট বাতিলের ঘোষণার পরই অভিযুক্তরা জাল ২০০০ টাকার নোট ছাপার কাজ শুরু করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তিকে প্রতারণা করতে লালবাতি লাগানো বিলাসবহুল গাড়িতে করে যাচ্ছিল অভিযুক্তরা। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মাঝপথে তাদের পাকড়াও করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, লুধিয়ানার সম্পত্তি কারবারী বাতিল ৫০০ ও ১০০০ টাকার বদল করে নতুন নোট নিতে আগ্রহী, এমন শিকার খুঁজে এনে দিত। এরপর অভিযুক্তরা বাতিল নোট বদলের নামে জাল নোট গছিয়ে দিত এবং এর বিনিময়ে ৩০ শতাংশ কমিশনও নিত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৮৬-এ,বি,সি,ডি এবং ১২০-বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় একটি আদালত।
জানা গেছে, গত ২০ দিনে প্রায় প্রায় দুই কোটি টাকার বাতিল নোট বদলে জাল নোট দিয়েছে অভিযুক্ত। জাল নোট দেওয়ার সময় নোটের বান্ডিলের ওপরে ও নিচে একটি করে আসল নোট তারা দিত। কাদের কাছ থেকে বাতিল নোট নিয়ে তারা জাল নোট দিয়েছে, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে।