নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নয়া শিক্ষানীতি অনুমোদিত হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক ও আলোচনা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী ২০২০-র শিক্ষানীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পালনস্বামী বলেছেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে তিন ভাষা নীতির কথা বলা হয়েছে, তা রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ আহত করতে পারে। অতীতে তামিলনাড়ুতে ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। পালানিস্বামী জানিয়েছেন, তামিলনাড়ু দ্বিভাষা নীতিই অনুসরণ করবে।


রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর পালানিস্বামী বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-র ত্রিভাষা ফরমুলা নিয়ে আমরা দুঃখিত। আমাদের রাজ্য ইতিমধ্যেই কয়েক দশক ধরে দ্বিভাষা নীতি অনুসরণ করছে (তামিল ও ইংরেজি) এবং এতে কোনও পরিবর্তন হবে না’।

তামিলনাড়ুর মানুষের আকাঙ্খাকে গুরূত্ব দিয়ে ত্রিভাষা নীতি পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যগুলি তাদের নীতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।
এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে ও রাজ্যের অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা করেছে এবং প্রস্তাবিত সংস্কারগুলি নিয়ে পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছে।
ত্রিভাষা নীতির মাধ্যমে সংস্কৃত ও হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ক্ষোভ দেখিয়েছি তামিলনাড়ুর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক অবশ্য এ ধরনের আশঙ্কা উড়িয়ে তামিল ভাষায় ট্যুইট করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোন রাধাকৃষ্ণনকে জানিয়েছেন, কোনও রাজ্যে কোনও ভাষা কেন্দ্র চাপিয়ে দেবে না।
এরইমধ্যে পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নায়ারণস্বামী নয়া শিক্ষানীতিকে ‘বিশৃঙ্খল’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এতে বহু প্রশ্নেরই কোনও উত্তর নেই। তিনি বলেছেন, শিক্ষানীতিতে কর্মসংস্থানের পর প্রশ্বস্ত করার কোনও স্পষ্ট দিশা নেই এবং এর রূপায়ণে আর্থিক দায় রাজ্য সরকারগুলির কাঁধেই চাপবে কিনা, সে বিষয়টিও খোলসা করা হয়নি।
নারায়ণস্বামী বলেছেন, উত্তরের রাজ্যগুলির জন্য যা প্রাসঙ্গিক তা দক্ষিণের রাজ্যগুলিরও উপযুক্ত হবে, এমনটা ধরে নেওয়া যায় না।
শিক্ষানীতির মাধ্যমে কেন্দ্র সংস্কৃত ‘চাপিয়ে’ দিতে চাইছে অভিযোগ করে তাঁর দাবি, বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।