সোমবার দুপুরে আচমকাই সেনা বাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেসময় ওই সেনা-কনভায়টি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে কাজিগুন্দে যাচ্ছিল। ওই হামলায় এক সেনার মৃত্যু হয়, অপর একজন গুরুতর জখম। তারপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জোর তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশি অভিযান চলাকালেই গুলির লড়াই শুরু হয়। অপারেশন শেষ হতে প্রায় রাত দুটো বেজে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির। পরে পুলিশ মৃত তিন জঙ্গিকে চিহ্নিত করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে মৃত এক জঙ্গির নাম জওহর বাসির, সে স্থানীয় জঙ্গি। অপর দুজন হল আবু ফারকান এবং আবু মাভিয়া (দুজনেই পাকিস্তানের বাসিন্দা)। বাসির কুলগামের হাবিআসের বাসিন্দা। এবছর ফেব্রুয়ারিতেই লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয় সে। আবু ইসমাইলের মৃত্যু পর ফারকান হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান। এই আবু ইসমাইলের নেতৃত্বেই এবছর জুলাইয়ে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিদের একটি দল। সেই হামলায় ৮ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়, আহত হন ১৯ জন।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সম্প্রতি ফারকানের নেতৃত্বে অনন্তনাগ এবং কুলগামের একাধিক জায়গায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর। এরমধ্যে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা হামলা চালিয়েছে বান্টিনগোর একটি বাসের ওপর, লোয়ার মুন্ডায় জাতীয় সড়কে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর একাধিক হামলায় যুক্ত ছিল লস্কর সদস্যরা।