নয়াদিল্লি: অন্তত ৩০ কোটি পরিবার জন ধন যোজনায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছে, যাতে জমা পড়েছে প্রায় ৬৫,০০০ কোটি টাকা। দেশের সমস্ত প্রান্তিক মানুষের কাছে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুফল পৌঁছে দিতে চালু হওয়া এই যোজনা আগামীকাল তিন বছরে পড়বে। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন এ কথা।

মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জন ধন যোজনা থেকে সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হয়েছেন জানতে সমীক্ষা চালিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, রুপে কার্ড, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা- সব কিছুই উপকারে এসেছে মানুষের। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার মত ১ টাকা থেকে ৩০ টাকা প্রিমিয়ামের বিমা প্রকল্পগুলি গরিব মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, অর্থনীতির পণ্ডিতদের আলোচনার অন্যতম বিষয় এই জন ধন যোজনা। শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বে। ৩০ কোটি পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে, বহু দেশের জনসংখ্যার থেকে যা বেশি। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে যে প্রায় ৬৫,০০০ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে, তা গরিবের ভবিষ্যতের সঞ্চয়, এই অর্থ তাঁদের পায়ের তলায় মাটি খুঁজতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবে সমাজের শেষতম ব্যক্তিও মূলধারার অর্থনীতিতে যুক্ত হতে পেরেছেন, তা তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম ৩ বছরে একরকম পূর্ণতার অনুভূতি এনে দিয়েছে। গরিব এখন ব্যাঙ্কে যাচ্ছেন, সাধ্যমত কিছু কিছু জমাচ্ছেন। গরিব যখন দেখছেন, তাঁর পকেটেও রুপে কার্ড আছে, তখন তিনি স্বচ্ছল মানুষদের সঙ্গে মনে মনে একই মঞ্চে দাঁড় করাচ্ছেন নিজেকে।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ১ টাকা বিমা প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও পরিবারের প্রধান ব্যক্তি মারা গেলে অল্পদিনের মধ্যে ২ লাখ টাকা অর্থ সাহায্য পাচ্ছে সেই পরিবার। গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মিলছে। এভাবেই গরিবরা নিজের পায়ে তো দাঁড়াচ্ছেনই, আরও ১-২ জনকে উপার্জনের সুযোগও করে দিতে পারছেন তাঁরা।