ওই চক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জনৈক দাসারি সিদ্ধার্থ ও আরও ১৯ জনকে। সিদ্ধার্থই চক্রের মাথা বলে সন্দেহ পুলিশের।
উদ্ধার হওয়া মহিলাদের মধ্যে আছেন তাইল্যান্ডের ৩৪ জন। এছাড়া উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের ২১ টি মেয়ে, পঞ্জাবের একজন, হায়দরাবাদের ৯টি মেয়েও মুক্তি পেয়েছে ওই চক্র থেকে।
এক শীর্ষ পুলিশ অফিসার বলেন, সমন্বয় গড়ে স্পা, ম্যাসাজ পার্লারে হানা দেয় একাধিক স্পেশাল টিম।
তদন্তে প্রকাশ, সিদ্ধার্থ তাইল্যান্ডের কাকে নামে এক মহিলার মাধ্যমে কিশোরীদের সেই দেশ থেকে নিয়ে আসত। মাসিক পেমেন্টের বিনিময়ে ম্যাসাজ সেন্টারে কর্মসংস্থানের নাম করে মেয়েদের পাঠাত ওই মহিলা।
তাই মেয়েরা বিজনেস বা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে হায়দারবাদ পৌঁছলে সিদ্ধার্থ তাদের পাসপোর্টগুলি নিয়ে নিত, তাদের নিজের স্পা, ম্যাসাজ পার্লারে দেহব্যবসা বা অন্যান্য যৌন কার্যকলাপে নিয়োগ করত।
পুলিশকর্তাটি এও জানান, ওই স্পা, ম্যাসাজ পার্লারগুলিতে বেআইনি কার্যকলাপ এরপরও চলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তাই অস্থায়ী ম্যাজিস্ট্রেটকে আবেদন করা হয়েছে যাতে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধি ও বেআইনি পাচার রোধ আইনের নানা ধারায় ওই স্পা ও ম্যাসাজ সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মেয়েদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। অনলাইন বুকিং, পেমেন্ট গেটওয়ে, আর্থিক লেনদেন কীভাবে হয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সবই তদন্তের আওতায় আসবে বলে জানান ওই পুলিশ অফিসার।