মৃত ভারতীয়দের মধ্যে এ রাজ্যের বাসিন্দাও রয়েছেন। তবে বেশিরভাগই পঞ্জাবের মানুষ। এছাড়াও রয়েছেন হিমাচল প্রদেশ ও বিহারের নাগরিক। কাজের সন্ধানে ইরাক গিয়েছিলেন এঁরা, থাকতেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মসুলে। সেখানেই তাঁদের অপহরণ করে ইসলামিক স্টেট।
হরজিত মাসিহ নামে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি দাবি করেন, সে বছরই ১৫ জুন বাদুসের কাছে মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে আইএস বাকি ৩৯ জনকে গুলি করে মেরেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, যতদিন না খুন হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলছে, ততদিন তাঁদের সন্ধান চালানো হবে।
গত বছর জুলাইতে আইএসের হাত থেকে উদ্ধার হয় মসুল। সেখানে তারপর একের পর এক গণ কবরের খোঁজ মেলায় গত বছর কয়েকজন সাংসদ ও ইরাক সরকারের পরামর্শ মেনে নিখোঁজ ৩৯ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্র।
এরপর আজ সুষমা তাঁদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়ায় ৩৯টি পরিবারের শেষ আশাটুকুও মুছে গেল। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ৩১ জন পঞ্জাবের, ৪ জন হিমাচলের ও ২ জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। ৩৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনের ডিএনএ নমুনা পুরোপুরি মিলে গেছে, অবশিষ্টজনের মিলেছে ৭০ শতাংশ। তাঁদের দেহাবশেষ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।