ওয়েইসির বক্তব্য, বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল, সংবাদমাধ্যম তিন তালাক ইস্যুতে বিতর্কের তুফান তুলেছেন। কিন্তু দেশের ৪.৩ কোটি বিধবাদের কথা তাঁদের কি মনে রয়েছে? ওই বিধবারা যাতে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন, সেজন্য তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ওয়েইসি।
২০১১-র জনগণনার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ওয়েইসি বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে ৪.৩ কোটি বিধবা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে হিন্দু মহিলার সংখ্যাই বেশি। ২০ লক্ষ হিন্দু মহিলা একলা থাকেন বা স্বামীর সঙ্গে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, এ ব্যাপারে কি টিভি চ্যানেলগুলির প্রাইম টাইমে বিতর্ক হবে?
একইসঙ্গে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এক রিপোর্টের ভিত্তিতে ওয়েইসির দাবি, মুসলিমদের মধ্যে তালাকের সংখ্যা অন্যান্য সম্প্রদায়ের থেকে কম।
মুসলিম পার্সোনাল লব বোর্ডের মহিলা শাখা একটি সমীক্ষা চালিয়েছে।ওই সমীক্ষা অনুসারে, অন্য সম্প্রদায়ের তুলনায় মুসলিমদের মধ্যে তালাকের সংখ্যা কম।মুসলিম অধ্যূষিত জেলাগুলির পরিবার আদালতের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছে।
এই সমীক্ষায় তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে মুসলিম অধ্যূষিত এলাকার ১৬ টি পারিবারিক আদালতের পরিসংখ্যান একত্রিত করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান ২০১১-২০১৫-র মধ্যে। সমীক্ষায় দারুল কাজা থেকেও পরিসংখ্যান একত্রিত করা হয়েছে।
৮ টি জেলায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কেরলের কান্নুর, মহারাষ্ট্রের নাসিক, তেলঙ্গানার করিমনগর, অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর, কেরলের মাল্লাপুরম, এর্নাকুলাম, পালাক্কড়।
সমীক্ষায় এই জেলাগুলির হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিস্টান জনসংখ্যা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের পরিসংখ্যান যোগাড় করা হয়েছে। এই সমীক্ষা রিপোর্ট ট্যুইট করেই ওয়েইসি তালাক ইস্যুতে নয়া বিতর্ক যোগ করেছেন।
ওই জেলাগুলিতে সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, মুসলিমদের ১৩০৭ টি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। হিন্দুদের মধ্যে এই সংখ্যা ১৬,৫০৫, খ্রিস্টানদের মধ্যে ৪৮২৭ এবং শিখ সম্প্রদায়ের ৮।